ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সাকাটা ইঙ্কসকে জমি বরাদ্দের চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে জিটুজি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ অফ-সাইট অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ৩টি ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য অফ-সাইট অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৮টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

মেঘনা ইন্ড্রাস্টিয়াল ইকোনমিক জোন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে প্রায় ১১০ একর জমির উপর অবস্থিত। মেঘনা ইন্ড্রাস্টিয়াল ইকোনমিক জোনে অভ্যন্তরিণ সড়ক নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর, গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ সম্পন্ন হয় জুন ২০১৭ সালে এবং শিল্প নির্মাণের কাজ শুরু হয় জুলাই ২০১৭ সালে । এখন পর্যন্ত এ জোনে ৬টি শিল্প নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ০৪টি নতুন শিল্প স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে । মেঘনা ইন্ড্রাস্টিয়াল ইকোনমিক জোনের অবকাঠামো উন্নয়নে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্টিজ প্রায় ১০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিযোগ করেছে এবং ১০টি শিল্প স্থাপনে প্রায় ১১৬.২৯ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রায় ৪২১৭ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা ইন্ড্রাস্টিয়াল ইকোনমিক জোন হতে উৎপাদিত পণ্য ফ্রান্স, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি শুরু হয়েছে।

সাকাটা ইঙ্কস করপরেশন জাপান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সাকাটা ইঙ্কস তাদের ২য় কারখানা স্থাপন করে ভারতে এবং বাংলাদেশে তাদের এটি ৩য় উৎপাদন করাখানা হবে। প্রস্তাবিত শিল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে যা পরবর্তীতে আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২২০০ কোটি টাকার এ কালির মার্কেট রয়েছে যা প্রতি বছর ১০-১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

সাকাটা ইঙ্কসের চেয়ারম্যান বলেন, সাকাটা প্রায় ২০টি দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি পবন চৌধুরী এবং বেজাকে সার্বিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এ শিল্প স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, জাপানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই কালি তৈরি করা হবে যা দেশের প্যাকেজিং শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বেজার ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, মুখ্য সমন্বয়ক(এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ স্যারের দিক নির্দেশনায় এবং বেজার চেয়ারম্যানের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত সূচিত করেছে।

ভারত বাংলাদেশে তিনটি এক্সক্লুসিভ ইজেড স্থাপন করতে চলেছে। এ সংক্রান্ত সকল কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের অবকাঠামো বিভিন্ন খাতে ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বেজা কাজ বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরীতে কাজ করে চলেছে, ইতোমধ্যে চায়নিজ এবং জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ আসছে এবং ভবিষ্যতেও এর ধারা অব্যাহত থাকবে।

এসএইচ/