ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মাশরাফি এবার মন্ত্রী!

প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

‘নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত’ মাশরাফি বিন মর্তুজা রাজনীতিতে নেমেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন। নড়াইলের ইতিহাসে এতো বেশি ভোটের ব্যবধানে এর আগে কোনও রাজনীতিক এমপি হননি। তিনি যে এতো ভোট পাবেন তা বুঝা গেছে তার নির্বাচনী প্রচারে জনসমাগম দেখেই। ভোটের প্রচারে তাকে ঘিরে অন্যরকম একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফিকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় নড়াইলবাসী।

দেশের ক্রিকেটকে বিশ্ব ক্রিকেটের সম্মানজনক জায়গায় নেয়ার পেছনে যার বিশেষ অবদান সেই মাশরাফির সামনে আজ দেশ সেবার বড় সুযোগ। ফল তাকে ঘিরে নড়াইলবাসী এখন নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই মাশরাফিকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন। আমাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী-ই তারুণ্যের এ প্রতীককে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও দলমত নির্বিশেষে সবাই মাশরাফিকে ভালোবেসে এবং প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য একাত্ম হয়ে ভোটারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন। নড়াইলের উন্নয়নে মাশরাফি ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাকে যদি মন্ত্রীত্ব দেন তাহলে অবহেলিত এ জনপদে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।’
যদিও মানবসেবায় ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সম্পূর্ণ সেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন কাজ করছে এলাকায়। এই সংগঠনের কাজের মধ্যে রয়েছে-দু:স্থ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেয়া ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়া, কম খরচে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন থায়রো কেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড নামে ডায়াগনোষ্টিক ল্যাবরোটারির প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট কার্যক্রম, শহরের দু’টি পয়েন্টে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু, তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া, শহরে অত্যাধুিনক একটি জিম নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু, ‘গ্রীন ও ক্লিন নড়াইল’ করতে নড়াইল শহর ও লোহাগড়া পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে ১২০টি ডাস্টবিন স্থাপন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার ১ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। এছাড়া নড়াইল শহর এবং লোহাগড়া পৌর এলাকার ২৫টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন। এসব সেবামূলক কাজ করার কারণে মাশরাফির ক্রিকেটার হিসেবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি এখানকার রাজীতিক, সাধারণ মানুষ এবং তরুণদের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা ব্যাপক।
প্রসঙ্গত, মাশরাফি ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২১০ ভোটে জয়ী হন। নিকটতম ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ধানের শীষ পেয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৮৮৩ ভোট। মোট ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৪ জন।
এসএ/