হাঙ্গেরিতে নেয়া হচ্ছে মাথা জোড়া লাগা যমজ শিশুকে
প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
রাবেয়া ও রোকাইয়া। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় মূলগ্রাম ইউনিয়নে মাথা জোড়া লাগা যমজ শিশু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও আর্থিক সহযোগিতায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুতসময়ের মধ্যে হাঙ্গেরি পাঠানো হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুতসময়ের মধ্যে হাঙ্গেরি পৌঁছানোর জন্য নির্দেশ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও আর্থিক সহযোগিতায় আজ রাত ১টায় একটি ফ্লাইটে তাদের হাঙ্গেরি পাঠানো হচ্ছে।
মাথা জোড়া লাগা যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকাইয়ার চতুর্থ দফা অস্ত্রোপচারের জন্য নেয়া হচ্ছে হাঙ্গেরি। সঙ্গে যাচ্ছেন শিশু দুটির বাবা-মা, বোন ও ৮ চিকিৎসক।
হাঙ্গেরিতে তাদের চিকিৎসায় গঠিত ৩৫ জনের টিমে অভিজ্ঞতা অর্জনে এই ৮ বাংলাদেশি চিকিৎসক থাকবেন। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষক দম্পতির এ জোড়া শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে তাদের তিন দফা সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিন দফা অস্ত্রোপচারের সময়ই হাঙ্গেরির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছিলেন।
জাতীয় বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তাদের তিন দফা অস্ত্রোপচার হয়েছে। চতুর্থ ধাপটি খুবই জটিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও আর্থিক সহযোগিতায় তাদের চিকিৎসা চলছে। আমাদের বার্ন ইউনিটে তিনটি মেজর অপারেশনেই ছিলেন হাঙ্গেরিয়ান নিউরোসার্জন। সঙ্গে ছিলেন আমাদের দেশের প্লাস্টিক সার্জন, নিউরোসার্জন এবং অ্যানেসথেটিস্টরা।’
তিনি বলেন, ‘২৪ অক্টোবর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট উদ্বোধনকালে তিনি দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।’
তিনি বলেন, ‘দুই শিশুকে সেখানে ৪-৫ মাস চিকিৎসা দেয়া হবে। শরীরের একাধিক স্থানে বিশেষ টিস্যু বসানো হবে।’
এদিকে শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘মেয়েরা অনেক খুশি। সুস্থ আছে, তারা সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে সুস্থ জীবনধারণ করবে, এটাই চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য যা করছেন, আর কেউ এমন করবেন না।’
মা তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়েরা সব কথা বলতে পারে, সব বোঝে। তারা প্রধানমন্ত্রীর নামসহ অনেক চিকিৎসকের নামও বলতে পারে।’
এসএ/