মন্ত্রিসভায় থাকা না থাকা নিয়ে সংশয়ে জাপা!
প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৪৩ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
জাতীয় পার্টি (জাপা) সরকারে থাকা না থাকা নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দর হিসেবে থাকবে এবং তার দলের কেউ মন্ত্রিসভায় অংশ নিবে না। একে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। আর একটি পক্ষ এখনও জাতীয় পার্টিকে আগের অবস্থান রাখতে চায়। তারা বিরোধী দল এবং মন্ত্রিসভায় থাকতে চায়। জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় থাকতে চায় পার্টির বড় একটা প্রভাবশালী অংশ। এ নিয়ে জাতীয় পার্টি এখন বড় ধরনের সংশয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারে নয়, একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবেই থাকবে জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে আজ শুক্রবার সকালে। এ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
তিনি বলেছেন, এতে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অতীতের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা আর সমালোচনার অবসান ঘটবে। সরকারে থাকা নিয়ে দলের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
‘আমার স্ত্রী এসেছিলেন আমার কাছে। আমি বলেছি, ইলেকশন তুমি করো। আমি ইলেকশনের পক্ষে ছিলাম না। তুমি ইলেকশন যেহেতু করছ, দলকে রক্ষা করার জন্য কর, কিন্তু মন্ত্রিত্ব নিও না।’ ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সময় সংবাদের ঈদ সম্পাদকীয়তে সরকার এবং বিরোধী দলে একসঙ্গে থাকা প্রসঙ্গে এভাবে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
একাদশ জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার পর জাতীয় পার্টি সরকারে না বিরোধী দলে রাজনীতির মাঠে এ নিয়ে যখন সংশয় দেখা দিয়েছে, তখন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় পার্টি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি। এখানে বলা হয়, সরকারে নয় এবারের সংসদে বিরোধী দল হিসেবেই থাকতে চায় জাতীয় পার্টি। দলটির সব স্তরের নেতা-কর্মীর সমর্থন নিয়েই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি সরকারের কোনো মন্ত্রিত্ব নেবে না বলেও জানানো হয়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এ সিদ্ধান্তকে দলের জন্য ঐতিহাসিক এবং সময়োপযোগী বলছেন।
তবে, জানা গেছে পার্টির প্রভাবশালী একটি অংশ সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকতে ইচ্চে প্রকাশ করেছে। তারা সকাররের সঙ্গে থাকতে আগ্রহী। আরও জানা গেছে, এই্ গ্রুপটিই দলে বেশ প্রভাবশালী। সব মিলে জাতীয় পার্টির অবস্থান এখনও পরিস্কার নয়। তারা মজাজোটের অংশ হিসেবে মন্ত্রিসভায় থাকবে না জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থাকবে এ নিয়ে সংশয়ে।
তবে, বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থাকলে জাতীয় পার্টির জন্যই ভালো হবে। তাতে পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আর সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগদান করলে বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে সাধারণ মানুষের কাছে। তাই সব মিলে বলা যায়, পার্টির ইমেজ বাড়ানোর জন্য দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত যথাযথ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির বিজয়ী মোট ২২ জন সদস্যের মধ্যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া শপথ নিয়েছেন বাকি ২১ জন সংসদ সদস্য।