আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নিহত ৫
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার
উত্তরাঞ্চলে জেকে বসা শীতে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। খড়কুটো জ্বালিয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষ উষ্ণতা বাড়াতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর ও গাইবান্ধায় এরিমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন।
এছাড়া নীলফামারী ও রংপুরে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন বেশ কয়েকজন। এদিকে ঠাকুরগাওয়ের হাসপাতালে শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
রংপুর অঞ্চলে স্মরনকালের প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ জনজীবন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
হতদরিদ্র পরিবারগুলোর শীত বস্ত্র না থাকায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন অনেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও দুজন। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে চারজন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
অন্যদিকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে ২০ জন। এদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের অবস্থা আশংকাজনক।
এতথ্য জানান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম।
গাইবান্ধায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শীত কমছে না। এদিকে শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে রসুলপুরে রোববার রাতে আগুন পোহাতে গিয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে ।
আগুন তাপাতে গিয়ে নীলফামারীতে শিশুসহ চারজন অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শীত মোকাবেলা করতে গিয়ে অসচেতনতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসাদ আলম।
এদিকে ঠাকুরগাঁও এ কনকনে শীতে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে। আধুনিক হাসপাতালে শিশুদের জন্য ১৮টি শয্যা থাকলেও প্রতিদিন ভর্তি থাকছে শতাধিক শিশু।
এদিকে এসব এলাকায় ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
এসএইচ/