ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর -বাণী

আনোয়ারুল কাইয়ূম কাজল

প্রকাশিত : ১১:২৬ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১১:৩৫ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ সা. এর বাণী আমাদের জীবনের জন্য পাথেয় হয়ে আছে। তিনি আজীবন মানব কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার প্রতিটি কথা এবং কাজ আমাদের জন্য অমূল্য রতন স্বরুপ। যারা এ অমূল্য বাণীকে ধারণ করতে পেরেছে তারা ইহকাল এবং পরকাল দুই জীবনেই সফল কাম হয়েছে। নিম্নে তার কিছু বাণী তুলে ধরা হলো-   

তিনব্যক্তি পাবে দ্বিগুন পুরষ্কার

হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনা কারী সাহাবী হযরত আবু হুরাইরা (রা:) বর্ণনা করেছেন, রাসুল  (সা:) বলেন, তিন প্রকার লোক দ্বিগুন পুরষ্কার পাবে-    

(১) সেই আহলে কিতাব, (যাদের উপর আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে) যে নিজের নবীর প্রতি ঈমান এনেছে (বিশ্বাস স্থাপন করেছে), তারপর আবার মুহাম্মদ (সা:) এর  প্রতিও  ঈমান এনেছে (বিশ্বাস স্থাপন করেছে)।  
(২) সেই গোলাম যে আল্লাহর হক আদায় করে এবং নিজের মনিবের হক ও আদায় করে।  
(৩) সেই ব্যক্তি যার কোন দাসী থাকলে সে তাকে উত্তম শিক্ষাদান করে, তারপর তাকে মুক্তকরে বিবাহ করে। সে ও দ্বিগুন পুরষ্কার পাবে। (বুখারী ও মুসলিম)    

ছয়টি কাজ করলে পাওয়া যাবে জান্নাত    

হযরত আবু হুরাইরা (রা:) রাসুল (সা:) থেকে বর্ণনা করেছেন, একদিন রাসূল সা. এর কাছে আসা উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, তোমরা যদি আমাকে ছয়টি জিনিসের বিষয়ে কথা দাও, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হবো।        

সাহাবারা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! সেই ছয়টি জিনিস কি কি?

জবাবে আল্লাহর রাসুল বলেন, ১. নামাজ ২.যাকাত ৩.আমানত ৪. লজ্জাস্থান ৫. পেট ও ৬.যবান      

বেহেশতী লোকের ছয়টি কাজ  
         
সাহাবী হযরত জাবির (রা:) বর্ণনা করেন, রাসুর (সা:) বলেছেন: তিনটি জিনিস যে ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যাবে, কিয়ামতের দিন আললাহতায়ালা তাকে নিজ হিফাজতে গ্রহন করবেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সেই তিনটি জিনিস হলো-      

১. দুর্বলদের প্রতি কোমল ব্যবহার।    
২. মাতা-পিতার প্রতি কোমল ব্যবহার।
৩. কর্মচারী ও খাদেমদের সাথে উত্তম ব্যবহার।

আর তিনটি এমন গুণ আছে যা কোন ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া গেলে আললাহ তায়ালা তাকে নিজ আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন। যে দিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবেনা- 

১. সেই অবস্থায় অযু করা যখন অযু করতে মন চায়না।  
২. অন্ধকার রাতে মসজিদে যাওয়া (জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য)
৩. ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে আহার করানো।      

(আললামা জলীল আহসান নদভী কতৃক রচিত ‘যাদেরাহ’ হাদীস গ্রন্থ থেকে সংকলিত)   

এসি