চবিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লার্নিং সেন্টার
প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শতাধিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এক্সেসিবল ই-লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ই-লার্নিং সেন্টারটি উদ্বোধন করেছেন।
এটুআই, একেখান ফাউন্ডেশন এবং বেসরকারি সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা’র) যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছে এক্সেসিবল ই-লার্নিং সেন্টার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিএএ এবং একেখান ফাউন্ডেশন-এর ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাউদ্দিন কাশেম খান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আকতার এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের প্রথম ইনক্লুসিভ ইউনিভার্সিটি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এক্সেসিবল ই-লার্নিং সেন্টার একটি অন্যতম উদ্যোগ। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হযেছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি কোটা, শিক্ষা বৃত্তি, হলে সিট প্রদানে অগ্রাধিকার অন্যতম। এ ধরনের কার্যকরি ও উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগকে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য সম্প্রসারণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিএএ বলেন, এটুআই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে আসছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ উদ্ভাবনকে সহায়তা করছে। একেখান ফাউন্ডেশন-এর ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাউদ্দিন কাশেম খান বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা যেকোন ধরনের উদ্ভাবনী মূলক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকবো।
উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএসএইড এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সহায়তায় এটুআই প্রতিবন্ধীদের মূল কাঠামোতে তুলে আনার জন্য নানা উদ্ভাবনে কাজ করে চলেছে। ভাস্কর ভট্টচার্য তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে এই উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করতে গিয়ে বলেন, এই ই-লার্নিং সেন্টারে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের উপযোগী সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, এক্সেসিবল ডিকশনারি, দুইশত এর বেশী ডিজিটাল টকিং বুক, তিনশত ই বুক, ৫০টিরও বেশি ব্রেইল বই এরং প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীদের জন্য ধারাবাহিকভাবে আইসিটি প্রশিক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত এই কার্যক্রমে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে এটুআই, একেখান ফাউন্ডেশন এবং ইপসা। ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ড. শিরীন আকতার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই বরং অন্য অনেকের চাইতে অগ্রগামী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের ই-শিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে তুলবে, যাতে তারা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
এসএইচ/