এক দশকেও বাস্তবায়িত হয়নি তিন পার্বত্য জেলাকে পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার সরকারি ঘোষণা
প্রকাশিত : ০৯:০৯ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:০২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার
এক দশকেও বাস্তবায়িত হয়নি তিন পার্বত্য জেলাকে পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার সরকারি ঘোষণা। এতে পার্বত্যবাসীর সঙ্গে হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। পাহাড় আর হাওরকে কাজে লাগিয়ে সুনামগঞ্জে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হলেও চোখে পড়ছে না কার্যকর উদ্যোগ। পিরোজপুরের ভীমরুলি খালের হাটকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাসমান হাট বলে মনে করা হলেও গড়ে উঠেনি পর্যটন স্পট হিসেবে।
মাথার ওপর মেঘের ভেলা, প্রাকৃতিক ঝর্না, পাহাড়ের ওপর লেক; তিন পার্বত্য জেলার নৈঃসর্গিক দৃশ্য খুব সহজেই কাছে টানে প্রকৃতিপ্রেমীদের। আর ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি যে কোনো মানুষের চিত্তকে বিমোহিত করে।
কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামো আর পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে সেভাবে দাঁড়াতে পারছে না পর্যটন শিল্প। ফলে সৌন্দর্য উপভোগে ভ্রমণে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন পর্যটকরা। দু’দফায় সরকারের পক্ষ থেকে পাবর্ত চট্টগ্রামকে পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তবে পর্যটন স্পটগুলো আরও আধুনিকায়নে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা সুনামগঞ্জ জেলা। সীমান্ত এলাকায় ছোট-বড় টিলা, এঁকেবেঁকে বয়ে চলা পাহাড়ী নদী আর সুবিশাল হাওর দেখে মুগ্ধ হন সৌন্দর্যপিপাসুরা। এখানে বিশ্বমানের পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও যোগাযোগ আর অবকাঠামোর অভাবে তা হয়ে উঠছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানার ভীমরুলি খালে কৃষিপণ্যকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় ভাসমান হাট। থাইল্যন্ডের ‘ফ্লোয়েটিং মার্কেটের’ পর পর্যটকরা এটাকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাসমান হাট বলে মনে করলেও আজও তা পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে ওঠেনি।
সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করা গেলে পর্যটন শিল্প থেকে সরকার বিপুল অর্থ আয় করতে পারবে বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।