ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ফেডেরারের চিন্তা অবাছাইদের নিয়ে

প্রকাশিত : ০৩:১০ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:২৩ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

টানা তিনবারের জন্য অস্ট্রেলীয় ওপেন খেতাব জয়ের হাতছানি তার সামনে। কিন্তু তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে রাজি নন রজার ফেডেরার। বরং ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ভাবছেন মেলবোর্ন পার্কে এবারের অবাছাই তারকাদের নিয়ে। যে তালিকায় নাম রয়েছে নিক কিরিয়স, জো উইলফ্রিড সংগা, অ্যান্ডি মারে, টমাস বার্ডিখের। এদের মধ্যে যদি কোনও একজনের সঙ্গেও প্রথম রাউন্ডে দেখা হয়, তাহলে ম্যাচ জয় কতটা কঠিন হতে পারে, তা নিয়ে ভাবছেন সুইস তারকা।

ফেডেরার বলেছেন, ‘এবারের ড্র আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় হতে চলেছে। যে কোনও প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ বরাবর কঠিন হয়ে থাকে। এবং আমাকে যে কোনও মূল্যে সেই ম্যাচটা জিততে হবে।’

৩৭ বছর বয়সেও তিনিই যে এই প্রতিযোগিতার সেরা আকর্ষণ, তা খুব ভালই জানেন ফেডেরার। তাই হয়তো তিনি এবার অনেক বেশি সতর্ক থাকতে চাইছেন। বলেছেন, আমাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু হয়েছে, সেটা বেশ অস্বস্তিকর। সবাই ধরেই নেন যে, আমি অনায়াসে ম্যাচ জিতে যাব। তাই আত্মবিশ্বাসকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রেখে অভিযান শুরু করতে হবে।

হাঁটুর অস্ত্রোপচার করিয়ে অনেকটা সময় কোর্টের বাইরে থাকা। তার পরে আবার সাড়ম্বর প্রত্যাবর্তন। নিজেকে নতুনভাবে ফিরে পাওয়ার সেই নিরলস প্রয়াস ফেডেরারের মানসিকতায় এনেছে এক আমূল পরিবর্তন। তিনি বলেছেন, গতবার শুরুটা এত ভাল হয়েছিল যে, মনের মধ্যে সেই বিশ্বাস ফিরে এসেছিল আমি আবার আগের মতোই সুন্দর টেনিস খেলতে পারি। হয়তো পরের দিকে সেই ছন্দে সামান্য চ্যুতি ঘটেছিল। কিন্তু আমার কাছে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, কীভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। আরও বলেছেন, কী ধরনের ক্রীড়াসূচি রয়েছে, সেটা দেখে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলার ব্যাপারকে এখন সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তার বাইরে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তা করার অভ্যাস আমি পাল্টে ফেলেছি।

তবে তার এই নতুনভাবে ফিরে আসার পিছনে পরিবারের যে বিশাল অবদান রয়েছে, তা স্বীকার করেছেন ফেডেরার। বলেছেন, নিঃসন্দেহে টেনিস আমার কাছে অন্য এক অর্থ বহন করে। কিন্তু তা পরিবারের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কখনওই নয়। এখন তো আমার সঙ্গে চার সন্তানও প্রায়ই বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। খেলার ব্যস্ততার ফাঁকে সময় বার করে নিয়ে তাদের হাসিখুশি রাখা আমার কাছে খুব বড় এক দায়িত্ব। সেই ব্যাপারকে উপেক্ষা করতে পারি না। চেষ্টা করি সেই দায়িত্ব পালনেরও। আরও বলেছেন, বরং ওদের মুখে হাসি দেখলে ভাল টেনিস খেলাটা আমার কাছে অনেক সহজ হয়ে যায়।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//