কানাডায় ঠাঁই পেলেন সৌদির সেই তরুণী
প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার
দেশ থেকে পালিয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চাওয়া সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন শেষ পর্যন্ত কানাডায় ঠাঁই পেয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কুনুনকে আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ করেছিল এবং আমরা তা গ্রহণ করেছি।’
নারী অধিকার ও মানবাধিকার ইস্যুতে সৌদি আরব ও কানাডার মধ্যে যখন প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব চলছে তখন এ ঘটনা ঘটলো। কানাডার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রধান সুরাহাতে হাকপার্নের বরাত দিয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম জানিয়েছে, কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে আল-কুনুনকে কানাডায় পাঠানো হয়েছে। কানাডা ছাড়া আরো বেশ কয়েটি দেশ আল-কুনুনকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী ছিল; এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে।
গত শনিবার আল-কুনুন পরিবারে সঙ্গে কুয়েত যাওয়ার পথে ব্যাংককে পালিয়ে যান। ব্যাংকক বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর আল-কুনুন দাবি করেন তার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি থাইল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে কানেকটিং ফ্লাইট ধরবেন। কিন্তু সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট একজন সৌদি কূটনীতিক কেড়ে নিয়েছেন।
তবে ব্যাংককে অবস্তানকারী একজন সৌদি মুখপাত্র কুনুনের পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া কিংবা তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন। শুরুতে থাই কর্তৃপক্ষ তাকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে দৃঢ় অবস্থানে ছিল। পরে অবশ্য কুনুনকে সাময়িকভাবে থাইল্যান্ডে থাকার অনুমতি দেয় দেশটি এবং এক পর্যায়ে ইউএনএইচসিআর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে।
এমএইচ/