ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঐক্য রাখতে বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগ করতে হবে: ড. কামাল

প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৭:২৫ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার

ঐক্য রাখতে হলে অবশ্যই বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

আজ শনিবার (১২ জানুয়ারি) আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,‘জামায়াতকে নিয়ে কোনো দিন রাজনীতি করিনি, করবও না। জাতীয় ঐক্যের জন্য বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে হবে, এ কথা এখন বলাই যায়।

লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করতে গিয়ে যে ভুল-ত্রুটিগুলো হয়েছে, তা সংশোধন করে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন চায়লে আরও একটি নির্বাচন হতে পারে বলেও দাবি ড. কামাল। অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটি বলতে কী বোঝানো হয়েছে এবং সেটা দ্বারা জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যকেও বুঝানো হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকে ড. কামাল বলেন, ‘একটা ভালো উদাহরণ আপনি দিয়েছেন। এটাকেও আমি মনে করবো, ইয়েস।’

‘আমি অলরেডি পাবলিকলি বলেছি, যে ভাই এটা তো আমার জানাই ছিল না। জামায়াতের ২৫ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমি যখন সম্মতি দিয়েছি তখন এটা আমাকে জনানো হয়নি। অন্তত আমার মতে সেটা (জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া) একটা ভুল।’

জামায়াতের ব্যাপারে অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘জামায়াতকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি করার কোনো ইচ্ছা নাই। আমরা আগেও করিনি, এখনো করছি না এবং ভবিষ্যতেও করবো না।

জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন অনিচ্ছাকৃত ভুলক্রটি কিনা এবং জামায়াত ছেড়ে ঐক্যফ্রন্টে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া হবে কিনা সে প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি তো মনে করি, জামায়াতকে ছেড়ে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া হতে পারে।’

বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকলে ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনারা থাকবেন কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জামায়াতকে নিয়ে কোনও রাজনীতি করবো না আমরা। অবিলম্বে জামায়াতে বিষয়ে বিএনপির কাছ থেকে আমরা সুরাহা চাই।’

জাতীয় নির্বাচনকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে কিন্তু ঐক্যমত্য আসেনি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংসদ গঠিত হোক, এটা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই কিন্তু ৩০ তারিখে যা ঘটেছে সেটা তো আপনারা পত্র-পত্রিকায় পাচ্ছেন।’

দেশের স্বার্থে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে সেটা পারে বলে দাবি করে ড. কামাল বলেন, ‘তারা চাইলে দুই তিন মাস বা তার চেয়ে সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচন করা যেতে পারে।’

এছাড়া আগামী ২৩ এবং ২৪ মার্চ ঢাকায় গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ড. কামাল হোসেন।

 

 টিআর/