ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বিবিসির প্রতিবেদন

কি খাবেন নি:শ্বাসই আপনাকে জানিয়ে দেবে 

প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৯:২২ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

কোন ধরণের খাবার গ্রহণ করবেন আপনার নি:শ্বাসই তা পরীক্ষা করার মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। এটি পরিমাপ করার জন্য দুটি যন্ত্র বেরিয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার শরীরে কোন ধরণের খাদ্যের চাহিদা আছে।

আমেরিকার লাস ভেগাসে একটি প্রযুক্তি মেলায় এ যন্ত্র দুটি প্রদর্শনী করা হয়েছে। লুমেন এবং ফুডমার্বেল নামের যন্ত্র দুটি পকেটেই রাখা যাবে।

স্মার্ট ফোনের অ্যাপের সাথে এ যন্ত্রগুলোর সংযোগ করা যাবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন, তার শরীরে ক্যালরি কতটা খরচ হচ্ছে।

তবে একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন এ যন্ত্রগুলো বিজ্ঞানীদের দ্বারা এখনো যথাযথ অনুমোদন হয়নি। লুমেন এরই মধ্যে অনলাইনে দুই মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে।

তারা যে যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছে সেটি দেখতে অনেকটা ইন-হেলারের মতো। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তার নি:শ্বাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাপ করতে পারবে।

অ্যাপের মাধ্যমে জানা যায়, ব্যবহারকারীরা তাদের শরীরে থাকা মেদ এবং কার্বোহাইড্রেট খরচ করছেন কী না। একইসাথে আপনার শরীরের জন্য কোন ধরণের খাবার প্রয়োজন সেটিও জানতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে শতশত মানুষ এ যন্ত্রটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এর কার্যকারিতা কতটা সে বিষয়টি এখনও পুরোপুরি পরিমাপ করে দেখা হয়নি। আসছে গ্রীষ্মকালে এ যন্ত্রটি ২৯৯ ডলার দামে বাজারে পাওয়া যাবে।

অন্যদিকে ফুডমার্বেল যন্ত্রটি হাইড্রোজেন পরিমাপ করবে। এর মাধ্যমে হজম প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এটি গত ডিসেম্বর মাসে বের হয়েছে।

এ যন্ত্রটি যে প্রতিষ্ঠান আবিষ্কার করেছে তারা বলেছে, নি:শ্বাসে হাইড্রোজেনের মাত্রা বলে দিবে আপনি যে খাবার খেয়েছেন সেটি হজম হতে সমস্যা কী না।

যাদের পেট ফেঁপে যায়, পেটের ব্যথায় ভুগছেন কিংবা গ্যাস্ট্রিকের নানা সমস্যা আছে তাদের জন্য এ যন্ত্রটি উপকার দেবে বলে উদ্ভাবন কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছে।

কারণ, এর মাধ্যমে জানা যাবে আপনার কোন ধরণের খাবার খাওয়া উচিত।

ডাক্তাররা যদিও পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের এ ধরণের পরামর্শ দেন, কিন্তু এ যন্ত্রের পরিমাপ কতটা সঠিক হবে সেটি নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে।

তবে ফুডমার্বেল প্রতিষ্ঠানে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা যে যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন সেটি যাতে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই হয় সেটি তাদের মূল লক্ষ্য।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

এমএইচ/