ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ওষুধ ছাড়াই সাইনাসের সমস্যা সারবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০২:১৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

সাইনাসের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে আছেন। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। প্রবল মাথা যন্ত্রণা, সারাক্ষণ নাক-মাথায় ভারী ভাব এমনকি ব্যথার জেরে জ্বর চলে আসছে- সাইনাসের এই সমস্যাগুলির সঙ্গে আমরা অনেকেই জড়িয়ে আছি। সাইনাসের সমস্যা নিয়ে জেরবার হওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সামান্য নিয়মের এদিক ওদিকেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দেয়।          

মুখের হাড়ের ভিতর যে ফাঁপা, বায়ুভর্তি জায়গা থাকে, তার ভিতরের ঝিল্লিতে কোনও রকম বাধা এলে বা জ্বালা করলে সেখান থেকেই সাইনোসাইটিসের সমস্যা শুরু হয়।     

এই অসুখ হানা দিলে নিয়ম মেনে কিছু ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে ঠিকই। তবে, সারা বছর বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই অসুখ ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই। জেনে নিন সে সব। 

১. সাইনোসাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতি দিন ডায়েটে রাখুন এক কোয়া রসুন ও মধু। এই দুই উপাদানেই একাধিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ করে শ্লেষ্মাজনিত অসুখ ঠেকাতে এদের জুড়ি নেই। এক কোয়া রসুনের সঙ্গে দু’চামচ মধু মিশিয়ে খেলে সাইনাসের আক্রমণ ঠেকাতে পারবেন অনেকটাই।   

২. কম জলীয় বাষ্পযুক্ত স্থান এড়িয়ে চলুন। সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে স্যাঁতসেঁতে বা অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়াও ক্ষতিকারক। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে, এমন জায়গায় থাকুন।   

৩. শ্লেষ্মাজনিত সমস্যাকে দূরে রাখলেই সাইনাসের সমস্যা অনেকটা দূরে থাকে। তাই গরম জলের ভাপ নিন প্রায়ই। কোনও দিন কোনও কারণে একটু ঠান্ডার প্রবণতা বাড়লে গরম জলের ভাপ নিন। এতে নাসাপথ ভিজে থাকে ও শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে বেরিয়ে আসে।       
   
৪. আদা, মধুর মিশ্রণ শ্লেষ্মার জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতা শরীর গরম রাখে। আদা প্রাকৃতির ভাবেই অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল। এই দুই উপাদানের মিশ্রণ প্রতি দিন খেতে পারলে সাইনাসের সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়।  

৫.গরম পানীয় খান। চা-কফি খেলে তাতে চিনি বাদ দিন। স্যুপ খেলেও তা যেন খুব মশলাদার না হয়।

৬.গরম জলে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। এ বার এই তোয়ালে মুখের উপর দিয়ে কিছু ক্ষণ শুয়ে থাকুন। এতে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।

৭.সিগারেটের ধোঁয়া, বডি স্প্রে, ধুলোবালি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। এ সব নাসিকা পথে প্রবেশ করে সাইনোসাইটিসের সমস্যা বাড়ায়।        

এসি