ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মাদক পাচার

চীনে এবার কানাডার নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

মাদক পাচারের অপরাধে চীনের একটি আপিল আদালত কানাডার এক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। রবার্ট শেলেনবার্গ নামের ওই কানাডীয় নাগরিককে ২০১৮ সালে ১৫ বছরের কারাদাণ্ড দিয়েছিল একটি নিম্ন আদালত। কিন্তু আপিল আদালত সোমবার তার রায়ে বলেছে, অপরাধের তুলনায় তার আগের শাস্তি অনেক নমনীয় ছিল।
কয়েক সপ্তাহ আগে কানাডায় চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে’র শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা মেং ওয়াংঝু’কে গ্রেফতারের ফলে দু’দেশের সম্পর্কে যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয় এই মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় তা আরো তীব্র হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মার্কিন সরকারের অনুরোধে ওয়াংঝুকে গ্রেফতার করেছিল কানাডার পুলিশ। গতমাসে তিনি জামিনে মুক্তি পেলেও তার কানাডা ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
৩৬ বছর বয়সি শেলেনবার্গকে চীন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ২২৭ কেজি মেথামফেটামিন পাচারের পরিকল্পনার দায়ে ২০১৪ সালে আটক করে চীনা পুলিশ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত।
কিন্তু আপিলের জের ধরে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দালিয়ান শহরে অবস্থিত উচ্চতর আদলত সোমবার তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে তার সব অর্থ-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন শেলেনবার্গ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ১০ দিন সময় পাবেন কানাডার এই নাগরিক।
চীনে কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষোভ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  
হুয়াওয়ে’র প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে ৪৬ বছর বয়সি ওয়াংঝু’কে গ্রেফতারের ঘটনায় কানাডার পাশাপাশি আমেরিকার সঙ্গেও চীনের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার পর চীনের নিরাপত্তাকে হুমকিগ্রস্ত করার দায়ে দুই কানাডীয় নাগরিককে আটক করেছে বেইজিং।
সূত্র : পার্সটুডে
এসএ/