ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

আইপিও’র মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ওয়ালটন

প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করতে চায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এজন্য গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অবস্থিত কোম্পানিটির কার্যালয়ে রোড শোর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আইপিওতে আসার কারণ এবং কোম্পানির আর্থিক ও ব্যবসায়িক নানা দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

রোড শোয় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, স্বতন্ত্র পরিচালক এম ফরহাদ হোসেইন এফসিএ, ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিজনেস ইউনিটের (আইবিউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ইস্যু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপল এ’ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাজা আরিফ ও রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যু প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহম্মদ তাবারক হোসেইন ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।

তাছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) হিসেবে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলার, ব্যাংক, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি, বীমা কোম্পানি, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, রিকগনাইজড পেনশন অ্যান্ড প্রভিডেন্ট ফান্ড, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৫৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০৮ টাকা। কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত মুনাফা ২ হাজার ৭৯৮ কোটি ও শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফএস) ১৭ টাকা ২০ পয়সা। এর অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিএমআরই, ৩৩ কোটি টাকা আংশিক ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। কোম্পানিটির ব্যবসা সম্প্রসারণ প্রকল্পে মোট ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে আইপিও থেকে ৬২ কোটি ৫০ লাখ, নিজস্ব অর্থায়ন ২৭৭ কোটি ৫০ লাখওং জার্মানির আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিইজির কাছ থেকে ৩৪০ কোটি টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের পণ্য বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। দেশের জনগণ হচ্ছে আমাদের এ আকাশচুম্বী সফলতার অংশীদার। আর জনসাধারণকে ওয়ালটন তথা দেশের উন্নয়নের অংশীদার করতেই পুঁজিবাজারে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম বলেন, বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটর, এসি, টেলিভিশন, কম্প্রেসারের মতো উচ্চপ্রযুক্তিপণ্য তৈরি হবে, এটা ছিল অনেকটা রূপকথার আষাঢ়ে গল্পের মতো। কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে ওয়ালটন সেটা করে দেখিয়েছে। এ বছর দেশের বাজারে ২০ লাখ রেফ্রিজারেটর বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এখন বিশ্বের অন্যতম ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করা। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা পণ্যের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের বাজার দখল করতে চাই আমরা। ওয়ালটন কোনো প্রাইভেট প্লেসমেন্ট দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, পুঁজিবাজারের নিয়মকানুন মেনেই আমরা ব্যবসা পরিচালনা করব।

ওয়ালটনের পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম বলেন, ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে রোডম্যাপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরো ব্যাপক পরিসরে ওয়ালটনের অগ্রযাত্রায় আইপিওর মাধ্যমে দেশের জনগণ অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।