জীবন সায়াহ্নেও থামেনি সৈয়দ সামসুল হকের কলম, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গানও লিখেছেন
প্রকাশিত : ০৪:১৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৪:৪৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বুধবার
জীবন সায়াহ্নেও থামেনি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ সামসুল হকের কলম। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর একটি গানও লিখেছেন, যা বুধবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠানে মূল সঙ্গীত হিসেবে বাঁজানোর কথা ছিল। তবে, কবির মৃত্যুতে বাতিল হয়েছে সেই অনুষ্ঠান।
কবিতা, নাটক, উপন্যাস, গান সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে অবদান রেখে গেছেন বরেণ্য সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা সাহিত্যের এতো বিস্তৃত অঙ্গনে বিচরণ করেছেন খুব কম মানুষই। তাই সৈয়দ শামসুল হকের পরিচিতি সব্যসাচী লেখক।
জীবনের শেষ দিনগুলোতেও ক্রমাগত লিখে যাচ্ছিলেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ল্যাপটপে কখনো নিজে কম্পোজ করেছেন, কখনো কাগজে লিখেছেন আবার কখনো অন্যকে দিয়ে লিখিয়েছেন। অসুস্থ থাকা অবস্থায় ১৭০টির বেশি কবিতা সহ কিছু ছোট গল্প, উপন্যাস এবং গান রচনা করে গেছেন সৈয়দ হক। কিছু রয়ে গেছে অসমাপ্ত।
গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে দেখতে যান বরেণ্য এই লেখককে। এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি গান রচনা করেন সৈয়দ শামসুল হক। ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্মদিনে উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসেবে বাজানোর কথা ছিল জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠানে। কিন্তু, কবির মৃত্যু স্তব্ধ করে দিয়েছে সবাইকে।
শুধু সাহিত্য অঙ্গনই নয়, জাতির যেকোন সংকটে সৈয়দ শামসুল হক দাঁড়িয়েছেন রাজপথে। হেঁটেছেন প্রগতির সাথে।
এমন বাতিঘর নিভে যাওয়ায় শোকাতুর বাঙালী।