ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

চার উপায়ে দূরে রাখুন ফুসফুসের ক্যানসার

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১১:০৮ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার

অনেকেরই ধারণা, ধূমপায়ীদেরই ফুসফুসে ক্যানসার হয়। তবে ধূমপান এই ধরনের ক্যানসারের অন্যতম কারণ হলেও ধূমপান করেন না এমন মানুষও কিন্তু এমন রোগে আক্রান্ত হন।

সাধারণত ফুসফুসের ক্যানসার ধরাই পড়ে অনেকটা দেরিতে। তাই যে সব কারণে এই ক্যানসার দানা বাঁধতে পারে, তা জেনে সে সব থেকে সতর্ক হতে না পারলে তা বিপদ ডেকে আনবে। ধূমপান ত্যাগ তো বটেই, এ ছাড়াও কিছু খুঁটিনাটি দিকে নজর দিতেই হয়। কী কী উপায়ে ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব জানেন?

১. চিকিৎসকদের মতে, ধূমপান বা তামাকজাত যে কোনও নেশা ছাড়তে হবে আজই। এই মারণরোগের বীজ রয়েছে মূলত তামাকের ধোঁয়ায় থাকা ক্ষতিকারক নিকোটিনসহ অন্যান্য উপাদানে। চিকিৎসকদের মতে, বিড়ি বা সিগারেটের একটানে শরীরে যতটা নিকোটিন পৌঁছায়, তার বিষমাত্রার হারও অত্যন্ত বেশি। অনেকেই সিগারেটে পুরে খান। ফুসফুসের ক্যানসার ঠেকাতে এই অভ্যাস ত্যাগ অবশ্য কর্তব্য।

২. নিজে ধূমপান না করলেও তামাকের ধোঁয়ার চারপাশেই থাকেন আপনি? তাহলে সেই ভুল সংশোধন করে নিন আজই। মনে রাখবেন, এই অসুখ দমাতে যে কোনও উপায়েই ফুসফুসে তামাকের ধোঁয়া আসাকে প্রতিরোধ করতে হবে।

​৩. ​ঘরে রেডন গ্যাসের মাত্রা পরীক্ষা করান বছরে দু’বার। অক্সিজেনের সঙ্গে এই গন্ধহীন রেডন গ্যাস মিশে ফুসফুসে প্রবেশ করলে তা এই রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অনেকটা। বিশেষ করে কলকারখানা বা অতিরিক্ত যান চলাচলযুক্ত জায়গায় বাস করলে এই গ্যাসের মাত্রা পরীক্ষা করানো খুবই দরকার।

৪. যে সব জায়গায় দূষণবহুল, যানবাহনের ধোঁয়া বা কলকারখানার ধোঁয়া বেশি- সে সব জায়গায় গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়ায় থাকা নানা ক্ষতিকারক মৌল- অ্যাসবেসটস, নিকেল, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক এই ধরনের অসুখের জন্য দায়ী।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//