ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

হাবিপ্রবি’র প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপুর্ণভাবে সম্পন্ন  

আব্দুল মান্নান, হাবিপ্রবি

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ‘জি ইউনিট’ ও ‘সি (কমার্স) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় এবার কোনো ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মো.খালেদ হোসেন।      

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ বেলা ৯টা থেকে ১০.৩০ টা (জি১), ১১.০০টা থেকে ১২.৩০ টা (জি২) , ১.৩০ থেকে ৩.০০টা এবং বিকাল ৩.৩০ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত -সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিষিদ্ধ ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভর্তিচ্ছুদের হলে ঢোকার আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল ৬ শতাধিক আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির বিপুলসংখ্যক সদস্য এ কাজে সহায়তা করে। এ ছাড়া পরীক্ষা চলার সময় প্রস্তুত ছিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ দেখতে সকাল সাড়ে ৯ টায় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মু.আবুল কাসেম। ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পরীক্ষা চলছে। অরাজকতা রুখতে তিন স্তরের নিরাপত্তাসহ পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিভিন্ন কারনে এবারের পরীক্ষা সবার শেষে অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক বিষয় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, অত্যান্ত শান্তিপুর্ণ পরিবেশে আজকের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে । প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দু-দফা ভর্তি পরীক্ষা পিছানো এবং সর্বশেষ আমাদের এখানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরেও এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকায় ভাল লাগছে। এই পরীক্ষাও আরও বিলম্বিত করতে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের কিছু শিক্ষক চক্রান্ত করেছেন। তাদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত পন্থী কিছু শিক্ষক আছেন যারা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তাঁরা ছাত্রলীগ, ভিসিপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ এনে বিভিন্নভাবে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। আর যে ৫৭জন শিক্ষক নিয়ম বহির্ভুত ভাবে ইন ক্রিমেন্টের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন তাদের মধ্যে ৩৪ জন শিক্ষক ভর্তি-পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। আশাকরি তাঁরা ভর্তি পরীক্ষা শেষে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাবেন। আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছেন। পরীক্ষার হল ও আসন খুঁজে বের করাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্যসেবা দেন তারা।

উল্লেখ্য, এবাবের ভর্তি পরীক্ষায় ২০০৫ আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ১২ হাজার ১ শত ৮৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন ফরমের টাকা জমা প্রদান করেছে। মোট ৮ ইউনিটের অধীনে ১৬ টি শিফটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল পরীক্ষায় এফ-১ রোল নং ৬০০০০১ থেকে ৬০৭৭০৫ (সকাল ৯টা-১০.৩০টা) এফ-২ ৬০৭৭০৬ রোল থেকে ৬১২০৫৮ পর্যন্ত (দুপুর ১১টা-১২.৩০টা) এবং সি-২ রোল ৩৫০০০১ থেকে ৩৫৭৭০৫ (বিকাল ১.৩০-৩.০০টা) ও সি-৩ ইউনিটের ৩৫৭৭০৬ থেকে ৩৬১৪১১ (৩.৩০ -৫.০০ টা) রোল ধারী শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করবেন ।

এসি