ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মোবাইল ফোন ডাটাবেজের উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

নকল বা অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত করতে একটি শক্তিশালী আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) উদ্যোগে নির্মিত এই ডেটাবেজ উদ্বোধন করা হবে আজ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে স্থাপিত এই ডেটাবেজ উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন, মঙ্গলবার এ ডাটাবেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক জেনে নিতে পারবেন তার মোবাইল ফোনের তথ্য এই ডাটাবেজে আছে কি-না। অন্যান্য সেবাও তিনি নিতে পারবেন। কী প্রক্রিয়ায় সেই সেবা পাওয়া যাবে, তা উদ্বোধনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

কারও ফোন চুরি বা ছিনতাই হয়ে থাকলে এবং সেই হ্যান্ডসেটটি বাংলাদেশে বৈধভাবে আমদানি বা তৈরি করা হয়ে থাকলে এই ডাটাবেজ ব্যবহার করে তিনি সেটি বন্ধ বা লক করে দিতে পারবেন। ফোনটি ফেরত পাওয়ার পথও তৈরি হবে তার সামনে। এই ডাটাবেজ তৈরি হবে বৈধভাবে আমদানি করা ও দেশে তৈরি সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি বা আইএমইআই নম্বর নিয়ে।

আইএমইআই নম্বর হলো একটি ফোন সেটের শনাক্তকারী নম্বর। ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি ওই নম্বর দিয়েই ব্যবহারকারীর সব তথ্য সংরক্ষণ করে। কোনো ফোন হারিয়ে গেলে ওই নম্বরটি দিয়ে সেটি ট্র্যাক করা যায়। একটি বৈধ ফোন সেটের জন্য ১৫ ডিজিটের স্বতন্ত্র আইএমইআই নম্বর দেওয়া থাকে। মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#০৬# পরপর চাপলে ওই মোবাইল ফোনের বিশেষ এই শনাক্তকরণ নম্বরটি পর্দায় ভেসে ওঠে। দুটি আসল ফোনের আইএমইআই নম্বর কখনও এক হয় না। নকল ফোনে আইএমইআই নম্বর থাকে না, থাকলেও সেটি হয় জাল। সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে এ ধরনের আইএমইআই নম্বরবিহীন সেটই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযোগ। আর আইএমইআই ডেটাবেজ চালু হলে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার ও অপরাধ কমে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্নিষ্টরা।
এসএ/