ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১

ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৬ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৪০ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক জগতের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তার অসামান্য সৃষ্টিকর্মের জন্য চিরদিন মানুষ তাকে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুম আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অপরদিকে ‘তার ইন্তেকালে দেশ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও সুরকারকে হারালো’ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ইন্তেকালে দেশের সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
শেখ হাসিনা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।

প্রসঙ্গত, প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে অমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন।

তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কার-সহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে মেঘ বিজলি বাদল ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

এসএ/