ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কংগ্রেসে চমক, রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হল তাকে।

বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে কংগ্রেসের তরফে প্রিয়ঙ্কা উত্তর প্রদেশের পূর্ব ভাগের দায়িত্বও সামলাবেন।

এখনই নয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করবেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দীর্ঘদিন ধরেই প্রিয়ঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে আনার দাবি জানাচ্ছিলেন কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই দাবি মেনে নিয়ে চমক দিলেন রাহুল গান্ধী।

বস্তুত, ইদানীংকালে প্রিয়ঙ্কাকে নাগালের মধ্যে বিশেষ পাননি সাংবাদিকরা। তাই সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি কবে নামবেন, তার জবাব তার মুখ থেকে বরাবরই ছিল অধরা।

কিন্তু বোনের রাজনীতিতে নামার সম্ভাবনা নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাহুলকে। এবং প্রতিবারই রাহুল বলেছেন, আমি তো চাই ও রাজনীতিতে আসুক। কিন্তু এটা একেবারে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

তবে দশ নম্বর জনপথ ও ১২ নম্বর তুঘলক লেনের অন্দরমহল জানে, এ সব কথা স্রেফ বলার জন্যই বলা। রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই সক্রিয় রাজীবের মেয়ে। শুধু তার কোনও পদ ছিল না, এই যা। যেমন, রাহুলের লোকসভা কেন্দ্র অমেঠি এবং সনিয়া গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলী প্রিয়ঙ্কাই দেখভাল করেন।

সেখানকার মানুষ তার অফিসের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখেন। তাদের সুবিধা, অসুবিধার কথা শোনেন প্রিয়ঙ্কাই। এমনকী এও বলা যায়, যে রায়বরেলীর কংগ্রেস কর্মীরা যত না সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে স্বচ্ছন্দ, তার থেকে বেশি সহজ ‘প্রিয়ঙ্কার’ সঙ্গে। গত লোকসভা ভোটে অমেঠি, রায়বরেলীতে প্রচারের দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর।

এখানেই শেষ নয়। রাহুল কংগ্রেসের সহ সভাপতি হওয়ার পর থেকে তার টিম গঠনের ব্যাপারে প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কথাই ধরা যাক! রণদীপকে হরিয়ানা থেকে তুলে এনেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীই।

রাহুলের ব্যাক অফিস, তার মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টিম ইত্যাদি রিপোর্ট করেন তাকেই। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের কৌশল রচনা থেকে শুরু করে, মন্ত্রিসভা গঠন,- সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা ছিল প্রিয়ঙ্কার।

ফলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে নামাটা ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এবং মোক্ষম সময়েই রাজনীতিতে নামলেন তিনি।

এ দিন অমেঠি সফরে গিয়েছেন রাহুল। সনিয়া গান্ধীর যাওয়ার কথা ছিল রায়বরেলী। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সনিয়া যাননি। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে খবর, সনিয়া সম্ভবত আর রায়বরেলীতে প্রার্থী হবেন না। রায়বরেলীর প্রার্থী হবেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।

তথ্যসূত্র: জি নিউজ

এমএইচ/