ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিশ্ব ইজতেমা ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:১০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধ মিটিয়ে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। মুসলমানদের ধর্মীয় এই আসরটি আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষকে সাথে নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে।  

বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ব ইজতেমার এ তারিখ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহম্মদ আব্দুল্লাহ। এ দিন সচিবালয়ে তাবলিগ জামাদের নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি তারিখ ঘোষণা করেন।     

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, তাবলিগের শূরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তাবলিগে বিশৃঙ্খলা চলছে। এটাকে প্রশমিত করার জন্য সবাই মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে সব পর্যায়ের সবাইকে নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে দুই গ্রুপকে একসঙ্গে বসাতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি যে, এবার বিশ্ব ইজতেমা একসঙ্গে এক জায়গায় এবং উভয় গ্রুপ মিলেই করবে।’

কিছু কর্মপদ্ধতি ও ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের জন্য আজকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুপক্ষ মিলে তারিখ ঠিক করেছে, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু চাপিয়ে দেয়া হয়নি। আমরা বলেছি এ কাজটি একতাবদ্ধভাবে করতে হবে যেন দেশবাসী খুশি হয়। ওনারা রাজি হন।’   

এর আগে ২৩ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দু`পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘তাবলিগের বিবাদ মীমাংসা হয়েছে, এখন আর কোনো বিরোধ নেই। ফেব্রুয়ারি মাসের যে কোনো সময় একসঙ্গে ইজতেমা হবে। বুধবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দু’পক্ষের দু’জন প্রতিনিধি বসে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করবেন।’  

ওই সময় এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনি (মাওলানা সা’দ কান্ধলভী) এবার আসবেন না। বৈঠকে সে রকম সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ওই বৈঠকে ছিলেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেছিলেন, এবার ইজতেমা একটাই হবে। কোনো বিভক্তি হবে না। দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভবিষ্যতেও যাতে একসঙ্গেই হয়, এজন্য যখন যা করা দরকার করা হবে।   

এসি