কোয়ান্টামমে মিডিয়া সেলের ধ্যান সাফারি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৬:২৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার
সপরিবারে কোয়ান্টামম ঘুরে এলেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মিডিয়া সেলের সদস্যবৃন্দ। ১১ ও ১২ জানুয়ারি ২০১৯ অনুষ্ঠিত এ ধ্যান সাফারিতে অংশ নেন ২১০ জন (১১৪ জন এসোসিয়েট, ৫৫ জন গ্রাজুয়েট ও ৪১জন প্রো-মাস্টার)। তাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও চ্যানেল, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের সাংবাদিক, নাট্যকর্মী, লেখক এবং শিল্পীবৃন্দ।
দুদিনের এ সফরে মিডিয়াকর্মীরা ঘুরে ঘুরে দেখেন ব্যাম্বোরিয়াম, আরোগ্যশালা, গ্রাউন্ড অলিম্পিয়ান, ভ্যালি হিকমান, জলপাই বাগানসহ কোয়ান্টামমের বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ছাড়াও তারা উপভোগ করেন আমরা পারি ডকুমেন্টারি।
১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কোয়ান্টামমের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র কামরুল চত্বরে সৈয়দ হক মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব পরিবেশন করে কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তবে বিশেষ আকর্ষণ ছিল কোয়ান্টাম প্রো-মাস্টার পালাকার সায়িক সিদ্দিকী ও তার দল পরিবেশিত ভার্চুয়াল ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক পালাগান ‘নোলকজানের পালা`।
সফরের দ্বিতীয় দিন ভোরে আরোগ্যশালায় শ্রদ্ধেয় গুরুজী মেডিটেশন করান। এরপর অতিথিরা ভ্যালি হিকমান ক্যাম্পাস ভ্রমণ করেন। স্কুল ক্যাম্পাসে গার্ড অব অনার দেয়া হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিসেস ফরিদা ইয়াসমিন, এনটিভির বার্তা প্রধান খায়রুল আনোয়ার এবং নাট্য ও বাচন প্রশিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম সারোয়ারকে।
পাহাড়ের নিচে টং ঘরের চায়ের দোকানে আড্ডায় কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা সঙ্গে সফরকারীরা।
প্রত্যন্ত লামায় কোয়ান্টাদের স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশনা ও সাফল্য দেখে অভিভূত হন অতিথিরা। তারা বলেন, সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের নিয়ে গুরুজীর যে স্বপ্ন; সেই স্বপ্ন একদিন বাস্তবায়িত হবে। এই শিশুরা শুধু বাংলাদেশই নয়; বিশ্বকেও জয় করবে।
১২ জানুয়ারি বিকেলে ধ্যানঘরে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধ্যান সাফারিতে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীরা।
সমাপনী বক্তব্যে গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বলেন, মমতা মানুষ থেকে মানুষে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়। আমরা পরস্পর পরস্পরের জন্যে যে মমতা বিনিময় করি সেই মমতা যখন অপরের সাথে ভাগ করে নেয়া হয়, তখন এটি শক্তিতে রূপান্তর হয়। আমরা সবসময় বলি, আমাদের এই দেশটা আল্লাহ নিজের হাতে বানিয়েছেন। আমাদের কোনো কিছুর অভাব নেই। এত ভালো মানুষের দেশ পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা পরম প্রভুর নিকট কৃতজ্ঞতা জানাই, আমরা আমাদের মমতা ছড়িয়ে দিতে পারছি। আমাদের মমতার ফুল হচ্ছে এই শিশুরা। আমরা চাই, আমাদের দেশে কোনো শিশু অবহেলিত থাকবে না, বঞ্চিত থাকবে না। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা আমাদের অবকাঠামোগুলো গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
এসি