নর্দান ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার
বাংলা ও বাঙালির আবহমান কালের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গবেষণা কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করেছে। এদেশের আবহমান কালের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধূলা, মৎস, প্রাণি, বন, জাতীয় ব্যক্তিত্ব, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বহুবিধ বিষয়ে অতিরিক্ত পড়াশুনা এবং গবেষণা চর্চার আয়োজন রয়েছে এখানে।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে এনইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা এর উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড: আনোয়ারুল করীম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোশাররফ এম. হোসাইন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার লে. কর্নেল (অব.) একতেদার আহমেদ সিদ্দীকী সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আইবিএ’র স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহর একান্ত ইচ্ছা এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষাকল্পে এই গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্ম একদিকে বাংলা ভাষায় দূর্বল হয়ে বেড়ে উঠছে অন্যদিকে বাংলা ও বাঙালি জাতির বীরত্বগাঁথার সব ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ভুলে যাচ্ছে। ফলে তারা তাদের নিজস্ব জাতিসত্ত্বার ইতিহাস থেকে দূরেই থেকে যাচ্ছে। এসব ভাবনা থেকেই তিনি স্বাধীনতার মহান নায়কের ব্যক্তিত্ব, তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা, সততা, দেশপ্রেম ইত্যাদি নতুন প্রজন্মের কাছে বিশদভাবে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গবেষণা কেন্দ্র”। এখানে রয়েছে গবেষণাধর্মী প্রচুর বই-পুস্তক, জার্নাল ইত্যাদি। তাঁকে নিয়ে লেখা আরো বই এবং ইতিহাস সংগ্রহের কাজ চলছে।
দেশে এবং বিদেশে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক বই, নিবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। তারই কিছু দুর্লভ পাণ্ডুলিপি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে হার্ড কপি বা অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। দেশী ও বিদেশী এমফিল-পিএইচডি গবেষকরাও এখানে গবেষণার সুযোগ পাবেন।
বঙ্গবন্ধুকে আরো বেশি জানার উদ্দেশ্যে এ গবেষণা কেন্দ্রটি ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষকসহ বহু মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
নর্দান ইউনিভার্সিটি পরিবারের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও দেশের সকল শ্রেণির আগ্রহী মানুষ এবং গবেষকদের জন্য এ গবেষণা কেন্দ্রটি অফিস চলাকালীন উন্মুক্ত থাকবে।
এসি