ঢামেক মর্গে বিদেশির লাশ, বিপাকে কর্তৃপক্ষ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার
মার্কিন নাগরিক রবার্ট মায়রন বার্কারের লাশ আট মাস ধরে পড়ে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে। কিন্তু লাশ তার দেশে ফেরত পাঠানোর কোনও ব্যবস্থা হয়নি আজও। এতে বিপাকে পড়েছে মর্গ কর্তৃপক্ষ। তবে কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় তার বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা বেগম এ দেশেই সৎকার করতে চান লাশের।
মাজেদা বেগম বলেন, আট মাসেও রবার্টের লাশ যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা না হওয়ায় এ দেশেই তার মৃতদেহ সৎকার করতে চাই। আর সৎকারের বিষয়টি জানিয়ে খুব শিগগির মর্কিন দূতাবাসে আবেদন করবেন বলে জানান তিনি।
মর্গ ইনচার্জ সেকেন্দার আলী জানান, আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের লাশ কেউ দেখতেও আসেনি মর্গে।
২০১৮ সালের ২৫ মে রাজধানীর দক্ষিণখানের কেসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৮ বছরের রবার্টের মৃত্যু হয়। দক্ষিণখান থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মৃতদেহ দেশে পাঠানোর অপেক্ষায় সেই থেকে মর্গেই রাখা হয়েছে।
মাজেদা বেগম জানান, রবার্ট গরিব উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করতেন। রবার্টের কাছে বিদেশ থেকে টাকা আসত। সেই টাকা গরিব মানুষকে দিয়ে দিতেন। রাজধানীর উত্তরা কমিউনিটি হাসপাতালে আয়ার চাকরি করতেন মাজেদা। প্রায় ১২ বছর আগে রবার্ট ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে তাকে দেখাশোনা করার কেউ না থাকায় মাজেদা তার সেবা করতেন। সেবা করার সুবাদেই তাদের মধ্যে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। আর বিয়ের পর থেকেই তারা চালাবন এলাকায় বসবাস শুরু করে। আমেরিকায় রবার্টের স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে বলে জানান মাজেদা।
মাজেদা আরও জানান, রবার্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ২২ মে তিনি আমেরিকায় রবার্টের ছোট ছেলেকে ফোন করে বাবার অসুস্থতার খবর দেন। মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মাজেদা আমেরিকান দূতাবাসেও যোগাযোগ করেন। দূতাবাস থেকে লাশ ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আট মাসেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এ দেশেই লাশের সৎকার করতে চান তিনি।