রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের রুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৬:২৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার
ঢাকা শহরে বায়ুদূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দু’বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, রাজধানীর যেসব জায়গায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে সেসব জায়গা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এমনভাবে ঘিরে ফেলতে হবে যাতে ধুলো ছড়িয়ে বায়ুদূষণ বাড়াতে না পারে। পাশাপাশি ‘ধুলোবালি প্রবণ’ এলাকাগুলোতে দিনে দু’বার করে পানি ছিটাতে হবে।
ঘেরাওয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জন বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে প্রকাশিত খবর ও প্রতিবেদন যুক্ত করে গত রবিবার পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করে। রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ রিটের শুনানিতে আদালতে বলেন, সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ, পরিশে আইন ১৯৯৫ এবং পরিবেশ বিধিমালা ১৯৯৭-এ বায়ুদূষণ রোধ সংক্রান্ত পদক্ষেপেরে নির্দেশনা দেয়া থাকলেও কর্তৃপক্ষ ঢাকা শহরের চরম বায়ূদূষণ প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের রিপোর্টে বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০টি বায়ূ দূষণকারী শহরের মধ্যে ঢাকা তৃতীয় হয়েছে। বর্তমানে যেভাবে বায়ু দূষিত হচ্ছে তাতে আমাদের সবারই বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হবে।
এসএইচ/