ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সিন্ডিকেট সভা সন্ধ্যায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিন্ডিকেট সভা বসছে আজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এসভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সভায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের বিষয়গুলোকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে। নির্বাচনে ভোটার, প্রার্থী কারা হবেন সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে। বলে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ মার্চ। এ লক্ষ্যে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ডাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, প্রাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে কয়েক দফায় মতবিনিময় সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আচরণবিধি, তফসিল, গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
আর এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট, যার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি)। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বৈঠক শুরু হবে। যেখানে কার্যতালিকায় ডাকসু নির্বাচনের বিষয়গুলো অগ্রভাগে রাখা হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছ থেকে সুপারিশ নিয়ে উপাচার্যের কাছে জমা দেয়।
নির্বাচনে কারা অংশ নেবে, নিয়মিত শিক্ষার্থীরা কারা, কত সেশন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে পারবে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা, এমফিল, পিএইচডির শিক্ষার্থীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে কিনা- সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এসব বিষয় এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
সিন্ডিকেট সভা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী গঠনতন্ত্র যেন হয়, সিন্ডিকেট সভার কাছে সেই প্রত্যাশা থাকবে। প্রত্যাশা করি, আচরণবিধিও যেন বাস্তবসম্মত হয়।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান রাফসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সহাবস্থান চেয়েছিলাম। এখনও সেটা নিশ্চিত হয়নি। সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা গেলে ছাত্রদলসহ সব ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থানান্তর, সব সংগঠনের নির্বিঘ্নে প্রচারের সুযোগসহ আরও কিছু দাবি ছিল। সিন্ডিকেট এসব দাবি গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, সিদ্ধান্তগুলো একপক্ষীয় হবে না, সিদ্ধান্তে ছাত্রদের দাবিগুলোর প্রতিফলন ঘটবে। আশা করছি, এমন কোনো আইনি জটিলতা দেখা দেবে না, যাতে নির্বাচন আবারও পিছিয়ে যাবে।
টিআর/