হাকালুকিতে ২০ হাজার পাখি কমেছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
এশিয়ার বৃহত্তম হাওর মৌলভীবাজারের হাকালুকি। হাওরটিতে গত দুই বছরে ২০ হাজার ৩৫০টি পাখি কমেছে। এ বছর ৫১ প্রজাতির ৩৭ হাজার ৯৩১টি জলচর পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে ৩৩ প্রজাতির যে ৩৭০টি পাখিকে বার্ড রিংগিং করা (পাখির পায়ে রিং লাগানো) হয়েছিল এবার তার একটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’র (আইইউসিএন) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২৬-২৭ জানুয়ারি হাকালুকি হাওরে ৪০টি বিলে পাখি শুমারি শেষ হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে আইইউসিএন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
হাওরে হুমকির মুখে আছে এমন ৬ প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে এ শুমারিতে। সেগুলো হলো- মহাবিপন্ন বেয়ারের ভুতিহাঁস, সংকটাপন্ন পাতি-ভুতিহাঁস ও বড় গুটিঈগল এবং প্রায় সংকটাপন্ন মরচেরঙ-ভুতিহাঁস, ফুলুরি-হাঁস ও কালামাথা-কাস্তেচরা।
পাখি সমৃদ্ধ বিলের মধ্যে নাগুয়াধলিয়া বিল প্রথম দিন ৮ হাজার ৬৭৬টি পাখি। দ্বিতীয় দিন চ্যাতলা বিলে ৫হাজার ৩২৭টি পাখি। জলচর পাখিদের মধ্যে মাত্র ৪০৫টি সৈকতপাখি ছিল। পরোতি, বালিজুড়ি, নাগুয়াধলিয়া বিলে বিষটোপ দিয়ে মারা পাখি পাওয়া গেছে।
হাওয়াবন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা, গোয়ালজুড় হাকালুকি হাওরের এই ৪০টি বিলে পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
একে//