সোস্যাল মিডিয়ার কারণে ব্রিটেনে আত্মহত্যা বাড়ছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৮ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাথু জন ডেভিড হ্যানকক বলেছেন, আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে, এমন বিষয়বস্তু সরাতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাজ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করা হতে পারে। স্যোসাল মিডিয়ার কারণে ব্রিটেনে আত্মহত্যা বাড়ছে। রোববার বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শোতে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিটশি এই মন্ত্রী আরও বলেন, যদি আমাদের মনে হয়, যেসব কাজ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, অথচ তাদের ওই কাজগুলো করা প্রয়োজন, তাহলে আমরা এমনটি করতে পারি, প্রয়োজনে আইন করা হবে।
হ্যানকক আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইন করতে চাই না। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা যায়।
এর আগে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর আত্মহত্যার পর হ্যানকক সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের আত্মপীড়ন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে, এমন বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানান।
মলি রাসেল নামের ওই কিশোরী ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়বস্তু দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আত্মঘাতী হয় বলে অভিযোগ আছে। বিবিসিকে তার বাবা বলেন, আমি মনে করি ইনস্টাগ্রাম আমার মেয়েকে খুন হতে সাহায্য করেছে। তিনি পিন্টারেস্টেরও সমালোচনা করেছেন। সানডে টাইমসকে তিনি বলেন, পিন্টারেস্টকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
তরুণদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিয়োজিত প্যাপিরাস নামের একটি দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে প্রায় ৩০টি পরিবার যোগাযোগ করেছে, যারা মনে করে তাদের সন্তানদের আত্মহত্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা আছে।
পিন্টারেস্টের এক মুখপাত্র বলেন, ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে আমরা নির্ধারিত নীতি মেনে কাজ করি। আমাদের প্লাটফর্মে এ ধরনের বিষয়বস্তু আসা এবং ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আমরা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়ে থাকি।
টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, পিন্টারেস্ট, অ্যাপল, গুগল ও ফেসবুকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে হ্যানকক তাদের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
এসএইচ/