সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ মার্চ স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৩ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১০:২৬ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
(ফাইল ফটো)
স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) আগামী ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে। ২ মার্চ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে জেলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রধান শিক্ষকদের চিঠি পাঠিয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি খসড়া তফসিল ও কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন আয়োজনের কথা থাকলেও ব্যানবেইসের প্রস্তুতি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
২০১৯ খ্রিস্টাব্দে কেবলমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে অন্য কোনো পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসা এ নির্বাচনের আওতায় বলে বিবেচিত হবে না।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা তৈরি করতে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের’ আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চাসহ একে অপরকে সহযোগিতা করা, শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি ও ঝড়ে পড়া রোধে সহযোগিতা, পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে আট সদস্যের স্টুডেন্টস কেবিনেট। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো ছাত্রছাত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। একজন ভোটার সর্বোচ্চ আটটি ভোট দেবে। এর মধ্যে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে এবং যেকোনো তিন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুটি করে ভোট দিতে পারবে। প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্য হতে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হবে।
প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সংরক্ষণ (বিদ্যালয়, আঙিনা ও টয়লেট পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষ রোপণ ও বাগান তৈরি ইত্যাদি দিবস ও অনুষ্ঠান উদ্যাপন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি) এই ৮টি প্রধান দায়িত্বে আটজন নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়েই তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারী শিক্ষকরা দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণির একজন করে দুজন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করবেন। নির্বাচন ও এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনে একজন সহকারী শিক্ষককে সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট কক্ষ স্থাপন করে গোপনীয়তার সঙ্গে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এসএইচ/