ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

পোষাক শ্রমিকদের সহায়তায় হেল্পলাইন চালু   

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৩ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

পোষাক শ্রমিকদের অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইন চালু করেছে সরকার। তারা তাদের যে কোনো সমস্যার কথা ১৬৩৫৭ এই নাম্বারে জানাতে পারবে।   
 
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সমন্বিত শ্রম ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক আলোচনাসভায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এই হেল্পলাইনের উদ্বোধন করেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানায় মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে শ্রম পরিস্থিতি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সদস্য করে ২৯টি পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমিটির সদস্যরা ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের বিষয় মনিটর করবেন। কোনো কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই বা চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটলে আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করা হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে কারখানায় যাবেন এবং মালিক-শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। এই কমিটির সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি কারখানায় ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করবেন, সামগ্রিক শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিটি মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রেরণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত এই গার্মেন্ট খাতের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন একটি কঠিন কাজ। কারণ সব মালিকের সক্ষমতা সমান নয়। তার পরও মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে আর কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হোক আমরা তা চাই না। মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে শ্রম পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে দেশের শ্রমঘন এলাকা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলায় এই ২৯টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গার্মেন্টশিল্পের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামোর কয়েকটি গ্রেডে আশানুরূপ বেতন বৃদ্ধি না পাওয়ায় শ্রমিকদের মাঝে কিছুটা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল। শ্রমবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, মালিকদের সদিচ্ছা, শ্রমিক নেতাদের আন্তরিকতা সর্বোপরি সবার সহযোগিতায় মজুরি সমন্বয়ের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সঙ্গে তা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। সব শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিয়েছেন, শ্রম পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এরই মধ্যে সমন্বয়কৃত মজুরি কাঠামো গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এই হেল্পলাইন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তত্ত্বাবধান করবে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে শ্রমিকরা যেকোনো সময়ে তাদের কর্মবিষয়ক যেকোনো ধরনের অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন। এটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। এই হেল্পলাইন নম্বরটি প্রতিটি কারখানায় বড় বড় অক্ষরে দর্শনীয় স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু বক্তৃতা করেন।

এসি