রঙে রঙিন জবির সাংবাদিকতা বিভাগের ‘র্যাগ ডে’
মাসুদ রানা, জবি
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৬:৫১ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রবিবার
কালো নয়, নয় লাল শুধু ধবধবে সাদা টি-শার্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো বন্ধুদেরও লেখায় ভরে গেছে। কেউ একজন লিখেছে ‘ভালো থেকো বন্ধু’। আরেকজন লিখেছে ‘আর কেউ মনে না রাখুক, তুই রাখিস’। এভাবেই মনের অজানা কথাগুলো প্রিয় সহপাঠীদের সাদা টি-শার্ট লিখে দিয়েছে বন্ধুরা। বিদায় বেলা সেটা দেখে মনে না রাখার কি উপায় আছে? এই হচ্ছে ‘র্যাগ ডে’।
ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ঘোরাঘুরি, ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি এভাবেই পার হয় জীবনের সব থেকে সেরা দিনগুলো। কখন যে সময় চলে যায় কেউ টেরই পায় না। চার বছর পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠে বিদায়ের ঘণ্টা।
শীতের সকাল রোদ্রের আনাগোনা আবার ঠাণ্ডা বাতাস শরীরে লাগছে। এমন সময় বিদায় নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে ঘোড়ার গাড়ি চলে এসেছে। এখন বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু।
আনন্দ-উচ্ছ্বাস, রঙে-রূপে এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে গত ২০ জানুয়ারি রোববার শিক্ষা সমাপনী উৎসব (র্যাগ ডে’র) আনন্দে মেতে উঠেছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের (১০ম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আনন্দঘন পরিবেশে এই শিক্ষা সমাপনী উৎসব (র্যাগ ডে) উদযাপন করা হয়।
র্যাগ ডে উপলক্ষ্যে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে থেকে বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক নিসতার জাহান কবিরের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে একটি ‘ফ্ল্যাশ মব’ পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
পরে বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগীয় শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. রাইসুল ইসলাম, প্রভাষক মো. মিনহাজ উদ্দীন ও প্রভাষক মো. মিঠুন মিয়া বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঘটে যাওয়া নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। পরে শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ছিল মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে পুরো মিলনায়তনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল বিভাগের অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এসময় একে অপরের সঙ্গে ছবি তোলার মধ্য দিয়ে বিদায়ের শেষ ঘণ্টা বেজে যায়।
কেআই/এসএইচ/