যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে রহস্যময় ব্যক্তি যিনি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৭:৪৫ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার
তিনি খুবই কম সাক্ষাতকার দেন এবং তাকে খুব কমই জনসমক্ষে দেখা যায়। তারপরও আমেরিকার মানুষ যাদের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেছেন তাদের অন্যতম রবার্ট মুলার।
তিনি ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি প্রেসিডেন্টকে অপসারণে একটি চক্রান্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে তার সম্পর্কে সমালোচকরা অভিযোগ করে থাকেন।
আর তার সমর্থকরা বলছেন, তিনি একজন অক্লান্ত সরকারি চাকুরে যিনি কিনা সত্য প্রকাশের লড়াই করছেন। কিন্তু এতসব গোলমালের মাঝেও স্পট-লাইটের ঝলকানি তার ওপর।
শিরোনামে উঠে আসা মানুষটি আসলে কেমন?
এফবিআই এজেন্ট লরেন সি অ্যান্ডারসন গ্যাবনের রাজধানী লিবারভিলে একটি খুনের ঘটনার তদন্ত করছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি জরুরি ফোনকল পেলেন। অপরপ্রান্ত থেকে একটি কণ্ঠ জানালো যে দুইবছর আগে ২০০১ সালে এফবিআইর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া রবার্ট মুলার তার সাথে কথা বলতে চাইছেন।
বিষয়টি তার মধ্যে বিস্ময় ও বিরক্তির উদ্রেক করলো জানিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম এখানে সম্ভাব্য এমন কি ঘটছে যেটা জানতে তিনি ফোন করেছেন?’
কয়েক সপ্তাহ আগেই প্যারিসে একটি বাসে করে যাওয়ার সময় লরেন একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে সে মারা যায়, কিন্তু লরেন মরণাপন্ন সেই ব্যক্তিকে সিপিআর দিতে কয়েক সারি সিট অতিক্রম করে লাফিয়ে যান এবং পরে মেডিকেল টিম পৌঁছানোর পর রাস্তার ধারে বসে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেন।
গ্যাবনে মুলারের কলটি আসার পর মিজ এন্ডারসন যখন ফোন কানে তুলে নেন তখন শুরুতেই মুলার তাকে সেই ঘটনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
‘আমি শুনেছি যে একজন মানুষের জীবন বাচাঁতে আপনি চেষ্টা করেছেন, সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
মিজ অ্যান্ডারসনের জন্য এটা দারুণ এক স্মৃতি এবং তিনি মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মিস্টার মুলারের চরিত্রের তাৎপর্যপূর্ণ দিক প্রকাশ পায় ।
তিনি বলেন, ‘তিনি আমার সাথে কথা বলতে এবং ফোন করতে তার সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও এই সময় বের করেছেন এমন এক সময় যখন বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলা চলছে।’
‘কেউ যখন সঠিক কাজটি করেন তখন সেটিকে গুরুত্বের সাথে নেন তিনি, তার কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
রবার্ট মুলারের দৃঢ় নৈতিকতা বোধ
১৯৪৪ সালে ম্যানহ্যাটনের বিত্তশালী এক পরিবারে রবার্ট শন মুলার (তৃতীয়) জন্মগ্রহণ করেন এবং নিউজার্সির প্রিন্সটনে বেড়ে ওঠেন।
এরপর নিউ হ্যাম্পশায়ারের সেন্ট পলস বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয় তাকে যেখানে তার দৃঢ় নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়টি তার সহপাঠীদের নজরে পড়ে।
সেন্ট পলস-এ পাচঁবছর ধরে তার সহপাঠী ম্যাক্সোয়েল কিং সে সময়কার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন গম্ভীর ধরনের ব্যতিক্রমী একজন তরুণ। একেবারে চুলচেরা-ভাবে সঠিক লাইন মেনে চলতেন - অত্যন্ত লক্ষ্যভেদী এবং অত্যন্ত নিবেদিত-প্রাণ।’
স্কুলের বাইরের একটি স্ন্যাকসের দোকানের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করেন তিনি।
‘বোর্ডিং স্কুলের বাচ্চারা অনেক ব্যঙ্গাত্মক ধরনের মজা করতে পারে। একবার কাউকে নিয়ে আমরা মজা করছিলাম এবং আমার মনে আছে বব (মিস্টার মুলার) উঠে দাঁড়ালো এবং সে জায়গা ছেড়ে চলে গেল। সে বুঝিয়ে দিল যে এটা তার পছন্দ নয়।’
মুলারকে চেনে এমন অনেক ব্যক্তিই তার ন্যায়-অন্যায় এবং ঠিক-বেঠিক বিষয়ে গভীর বোধ-এর বিষয়টি উল্লেখ করবে। তার বিষয়ে বর্ণনার জন্য ‘ল অ্যান্ড অর্ডার ম্যান’ কিংবা ‘স্ট্রেইট-অ্যারো’ কথাগুলো নিয়মিতভাবে প্রযোজ্য।
কিন্তু সহপাঠী কিং বলছেন, এ ধরনের আড্ডায় যোগ দিতে অনিচ্ছুক হলেও তা মিস্টার মুলারের জনপ্রিয়তাকে কমিয়ে দিতে পারেনি, যার পেছনে তার খেলা-ধুলার ক্ষেত্রে দক্ষতার একটা বড় প্রভাব ছিল।
মিস্টার কিং বলেন, ‘সে ছিল একসঙ্গে একজন ফুটবলার, হকি এবং ল্যাক্রোজ খেলোয়াড়। আমার যতদূর মনে পড়ে এই তিনটি দলের প্রতিটির ক্যাপ্টেন ছিল সে।’
‘সে ছিল দারুণ একজন টিম মেম্বার এবং সবাই যে কারণে তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতো সেটা হল তার মধ্যে নিজেকে জাহির করার প্রবণতা ছিল না। বর্তমান চরিত্রের মতই তখনো তিনি ছিলেন অকপট ব্যক্তিত্বের অধিকারী।’
পাবলিক সার্ভিসের প্রতি স্কুল যে গুরুত্বারোপ করেছিল সেটাও জোর দিয়ে বলেন মিস্টার কিং।
‘তাতে সাড়া দিয়েছিলাম আমাদের অনেকে এবং চাকরি করে জীবন চালাতে চাইতাম। ববের ক্ষেত্রে...দেখলাম যে সে স্কুলের জন্য এবং খেলাধুলার জন্য আত্মোৎসর্গ করেছিল, এবং আমাদের অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল বড় হয়ে সে পাবলিক সার্ভিসে কিছু একটা করবে।’
তাদের প্রত্যাশাই মিলে গেল যখন মুলার রাজনীতি নিয়ে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া শেষ করে মেরিন সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হল এবং তাকে ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে পাঠানো হল।
বিরল এক সাক্ষাতকারে ২০০২ সালে মিস্টার মুলার তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। মেরিন সেনা হিসেবে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল যে, আমরা একজন দারুণ প্রিয় বন্ধুকে হারিয়েছিলাম, একজন মেরিন সেনাকে, সে ছিল প্রিন্সটনে আমার একবছরের সিনিয়র।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে থেকে অনেকেরই মনে হয়েছিল যে তার পথ অনুসরণ করতে হবে।’
লেফটেন্যান্ট হিসেবে মুলার এক প্লাটুন সৈন্যের নেতৃত্ব দিতেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে একাধিকবার আহত হয়েছেন। সাহসিকতার জন্য ব্রোঞ্জ স্টার সহ নানারকম সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।
তার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মুলার নির্ভীক-ভাবে এক অবস্থান থেকে আরেক অবস্থানে ছুটে গেছেন তার নিজের নিরাপত্তার কথা সম্পূর্ণভাবে পরোয়া না করে।’
যুদ্ধ থেকে ফেরার পর তিনি ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে ১৯৭৩ সালে গ্রাজুয়েশন করেন। একটার পর একটা আইন বিষয়ক চাকরি করেন। প্রথম সান ফ্রান্সিসকোতে এবং এরপরে বোস্টনে তিনি প্রসিকিউটর এবং তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং বিষয়ে কাজ করেন।
১৯৯০ সালে তিনি বিচার বিভাগে যোগ দেন যাকে অনেকেই মনে করেন তার ক্যারিয়ারের এক বিস্ময়কর বাঁক হিসেবে। ‘এনিমিস: এ হিস্ট্রি অব দি এফবিআই’ গ্রন্থের লেখক টিম ওয়েইনার বলছেন, ‘তিনি বিচার বিভাগ থেকে কোন একটি ল ফার্মে চলে যেতে পারতেন এবং বাকি জীবনটা প্রচুর অর্থ রোজগার করে কাটাতে পারতেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ফৌজদারি অপরাধের কৌঁসুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন যেটি মূলত একটি এন্ট্রি লেভেলের পদ।’
তিনি ওয়াশিংটনে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একধরনের নৈতিক বাধ্য-বাধকতা অনুভব করেন, যেখানে মাদকের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড মহামারীতে রূপ নিয়েছিল।
২০০১ সালের অগাস্টে সিনেটে সর্বজনীনভাবে তিনি এফবিআই প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন, এবং এই পদের জন্য তিনিই সমস্ত বিশেষজ্ঞদের কাছে পছন্দসই ছিলেন। পরের মাসে সেপ্টেম্বরে তিনি দায়িত্ব নেন।
কিন্তু তিনি ডিরেক্টরের রুমের দরোজা দিয়ে প্রবেশের ঠিক এক সপ্তাহ পর ঘটে যায় নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা, যেখানে প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়, এবং এরপর তার ভূমিকা পুরোপুরি পাল্টে যায়।
‘আপনি নিশ্চই কল্পনা করতে পারছেন তার কর্মক্ষেত্রে দ্বিতীয় সপ্তাহটি কেমন হতে পারে’। মিস্টার ওয়েইনার বলেন, ‘তার দায়িত্ব নেয়া গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই গভীর সংকটের মুখোমুখি সংস্থায় পরিণত হয়। ...এটা ছিল ৯৫% শ্বেতাঙ্গদের এবং সংস্থাটি তার মূল ও প্রাথমিক কাজ যেটি সেই গোয়েন্দা কার্যক্রম-সেটাই তারা ঠিকমত করতে পারেনি।’
তার মতে, ‘রবার্ট মুলার ডিরেক্টর হিসেবে ১২ বছরে যেটা করেছেন, এফবিআইকে ২১ শতকের সেবা এবং আইনের অধীনে গোয়েন্দা পরিসেবা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।’
নাইন-ইলেভেনের পর রবার্ট মুলারের সাথে সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রমে কাজ করেছেন সাবেক এফবিআই এজেন্ট আলি সুফিয়ান। তিনিও একমত বিষয়টিতে।
‘এফবিআইকে ঐতিহাসিক আইন প্রয়োগের ফোকাস থেকে গুপ্তচরবৃত্তিক সংস্থা হিসেবে পুনর্গঠন কার্যকর-ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন।’
তিনি বিভাগকে আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নেন, যে বিভাগটিতে এজেন্টরা একজন অপরের কাছে ইমেইলে ফাইল পর্যন্ত পাঠাতে পারছিলেন না।
লরেন এন্ডারসন মনে করেন, ‘তিনি বাধ্য ছিলেন কারণ নাইন ইলেভেনের ঘটনা এফবিআইতে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে এবং আমি বলতে পারি যে, এই ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা ছিল খুবই কঠিন।’
‘তার সিদ্ধান্তগুলো তাকে এজেন্টদের একটা বড় অংশের সমর্থন এনে দিল যারা মনে করতেন যে তিনি এফবিআইকে ধ্বংস করছেন। অনেকসময় লোকজনকে তা উত্তেজিতও করে তুলতো বলে জানান মিজ এন্ডারসন। ফলে যেকোনো ব্রিফিং এ নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করার জন্য তার পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকাটা খুব একটা অস্বাভাবিক ছিলনা।’
যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ডগলাস চার্লস বলেন, ‘নাইন-ইলেভেন এর জের ধরে নজরদারি পদ্ধতিগুলোর শিথিলতার জন্য মুলারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।’
তিনি এছাড়াও আরেকটি বিষয় সামনে তুলে আনেন-২০০৪ সালে যখন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সন্ত্রাস মোকাবেলার পদক্ষেপ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিকে (এনএসএ) আমেরিকার জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন মুলার ইস্তফা দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, এই বিষয়টি প্রেসিডেন্টকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে- সে বিপদ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন তিনি’ বলেন টিম ওয়েইনার, যিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর মুলারের সাথে মেক্সিকো সিটিতে কিছুসময় একসাথে অতিবাহিত করেছিলেন।
কেমন মানুষ হিসেবে মুলারকে দেখেছেন তিনি?
‘আমি এমন একজনকে দেখলাম যিনি বাহ্যিক-ভাবে অত্যন্ত কেতাদুরস্ত হয়ে চলেন...তার পোশাক আশাক এমন যেন সময়টা ১৯৫৬ সাল এবং রেডিওতে ফ্রাংক সিনাত্রা আর হোয়াইট হাউজে এইজেনআওয়ার’ বলেন ওয়েইনার।
২০১৭ সালের মে মাসে বিশেষ কনসেল হিসেবে নিযুক্ত হবার পর রাশিয়া ইস্যুতে তদন্তের নেতৃত্ব-দান শুরুর পর থেকে মিস্টার মুলারের শান্ত, নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে অনেক কথা-বার্তা হয়েছে। তদন্ত বিষয়ে খুব সামান্য তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জনসম্মুখে তিনি কদাচিৎ কথা বলেছেন।
মিজ এন্ডারসন বলেন, ‘মূল বিষয় হল তার কাছ থেকে আমরা একেবারে কিছুই শুনিনি।’
মিডিয়ায় কথা বলার বিষয়ে তিনি খুবই অনিচ্ছুক। তিনি অভিযোগের সূত্র ধরে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিষয়ে কথা বলেন।
প্রিন্সটনে মুলারের স্কুলের ইতিহাস এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অধ্যাপক জুলিয়ান যেলিযার বলেন, ‘নীরব থাকার একধরনের উপকারিতা রয়েছে। বর্তমান সময়কালে সবাই উচ্চকণ্ঠ, প্রেসিডেন্ট নিজেও, সবাই সবসময় কিছু একটা বলে যাচ্ছে। নীরব থাকার ফলে তা একধরনের রহস্যময় শক্তি যোগ করে। বহু মানুষ এমনভাবে আঘাত করে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে থাকে যে কখনো কখনো তা আবার সংশোধনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মুলারের নিজের কাজের প্রতি ফোকাস করার ফলে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’
তবে মুলারকেও এর শিকার হতে হয়েছে । প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক এবং অসম্মানজনক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কিন্তু মিজ এন্ডারসন যিনি এফবিআই ডিরেক্টর হিসেবে মিস্টার মুলারের সম্পূর্ণ মেয়াদকালেই তার অধীনে কাজ করেছেন - তিনি আশা করেন না যে তদন্তের ব্যাপারে তার সতর্ক অবস্থান শিগগিরই বদলে যাবে, তার ওপর কঠিন বাক্যবাবণে আঘাত আসা সত্ত্বেও।
মিজ এন্ডারসন বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে বাজি ধরে বলতে পারি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কংগ্রেসের সামনে কথা বলতে বাধ্য না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তার কাছ থেকে কিছুই শুনতে পারবো না। তার কাজই আসলে এ ব্যাপারে কথা বলবে সে ব্যবস্থাই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
এমএইচ/