দৃষ্টি বিভ্রাট করতে রাশিয়ার নতুন অস্ত্র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০৩ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
রাশিয়ার রণতরিতে নতুন অস্ত্র বসানো হয়েছে। এটি প্রয়োগে শত্রুকে সাময়িক ভাবে অন্ধ করে দেয়া যাবে এবং নিজ অস্ত্র ব্যবহার সক্ষমতা হারাবে শত্রু।
এ ছাড়া, শত্রুর দৃষ্টি বিভ্রম ঘটবে, অবাস্তব জিনিস চোখে দেখতে শুরু করবে। পাশাপাশি শত্রুর শুরু হবে বেদম বমি ।
‘নন-লেথাল’ বা ‘অ-মারণাস্ত্র’ শ্রেণির এ অস্ত্রের নাম ‘৫পি-৪২ ফিলিন’ বা ‘ইগল-প্যাঁচা।’ এর প্রয়োগে শত্রু প্রাণে মারা পড়বে না কিন্তু যুদ্ধের সক্ষমতা হারাবে।
এ অস্ত্র প্রচণ্ড আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করবে ফলে, বিশেষ করে, রাতে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হবে শক্র সেনা। অস্ত্রটি নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রুসেলইলেক্ট্রনিকস নামের সংস্থা।
স্বেচ্ছাসেবী সেনাদের ওপর অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে তারা লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করতে পারছেন না। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৫ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী বলেছেন, তাদের মধ্যে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাবের উপসর্গ দেখা দিয়েছে পাশাপাশি মন সংযোগ বা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার সক্ষমতা হারিয়েছেন। আর ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটছে এবং চোখের সামনে উজ্জ্বল আলোর গোলককে ছোটাছুটি করতে দেখেছেন। অবশ্য, পরীক্ষায় কতজন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিলেন সে তথ্য জানানো হয় নি।
ফিলিন ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ‘নাইট ভিশন’ বা ‘নিশি নয়ন প্রযুক্তি’ পুরো অকেজো করে দেয়া গেছে। একই সঙ্গে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু নির্ণয় পদ্ধতিও অকেজো হয়ে গেছে। অকেজো হয়ে গেছে দূরত্ব নির্ণয়ের কাজে ব্যবহৃত সেন্সর বা স্পর্শক।
রুশ নৌবাহিনীর নর্দার্ন সি ফ্লিটের অত্যাধুনিক রণতরি অ্যাডমিরাল গোরশেকোভ এবং অ্যাডমিরাল কাসাতোনোভে এ অস্ত্র বসানো হয়েছে। এ ছাড়া, বর্তমানে নির্মীয়মাণ আরো দুই রুশ ফ্রিগেটে এ অস্ত্র বসানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।