‘আমার চরিত্রে ডার্ক শেড আছে’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫২ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
জয়া আহসান ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিয়মিতই এখন তিনি দুই বাংলার ছবিতে অভিনয় করছেন। এ বার তিনি পদ্মা নয়। বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বেন। অতনু ঘোষের আগামী ছবি ‘বিনিসুতো’-র জন্য তিনি এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। কথা বলেছেন কলকাতার একটি গণমাধ্যমে।
জয়া আহসান তার সিনেমা সম্পর্কে বলেন, ‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’ নারীকেন্দ্রিক ছবি। কপ্লিট পার্সোনালিটির গল্প। সেই থেকে মেয়েটির জীবনে একটা ঘটনা ঘটে যায়। সেই নিয়ে ছবি এগোয়। এটি পুরোপুরি আলাদা রকমের সিনেমা। আমার চরিত্রে একটা অসম্ভব স্ট্রং সেন্স আছে। এই প্রথম আমি সাইকো থ্রিলার সিনেমায় অভিনয় করছি। ফলে বাড়তি একটু চাপ তো ছিলই। কিন্তু আমার সহ-অভিনেতাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য পেয়েছি।’
জয়া আহসান এর আগে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রতিষ্ঠিত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রে অর্ণব পাল একেবারেই নতুন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে রাজি হলেন কেন?
জয়া বললেন, ‘‘গল্পটা বেশ ভাল লেগেছিল। আর আমার চরিত্রে ডার্ক শেড আছে। গল্পে আমার চরিত্রের যে ছায়াগুলো ফুটে উঠবে, তা খুব ইন্টারেস্টিং।’’
অর্ণব পালের পরিচালনায় এই সিনেমাতে জয়া ছাড়াও অভিনয় করছেন বাদশা মৈত্র, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, রজতাভ দত্ত, তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত দত্ত, রাজেশ শর্মা প্রমুখ।
রাজেশ শর্মাকে দেখা যাবে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে। সুব্রত দত্ত অভিনয় করবেন একজন স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অফিসারের চরিত্রে এবং তাঁর সহকারী হলেন রজতাভ দত্ত। চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী অভিনয় করবেন এক নামজাদা সাইক্রিয়াটিস্টের ভূমিকায়।
‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা করছেন দেবজ্যোতি মিশ্র ও রকেট মণ্ডল। কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অংশুমান-প্রত্যূষ।
দর্শকের প্রতি সম্পৃর্ণ আস্থা রেখেই বলেন জয়া, ‘‘এখন গল্প বলার যুগ। অভিনেতাদের ছবি দেখে মানুষ হলে যায় না। মুম্বইতেও খেয়াল করলে দেখা যাবে, হিরোরা ক্যারেক্টর রোল করছেন। দর্শক আসলে বিচারক। দর্শক ভাল কাজকে খুঁজে নিতে জানে। সেই কারণেই এখনও ‘বিজয়া’চলছে।’’
অতনু ঘোষের নতুন ছবিতে শুধু অভিনয় নয়, গানও রেকর্ড করেছেন জয়া।
কোন গান জনাতে চাইলে জয়া বলেন, ‘সেটা এ মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে ছবির চরিত্র যেমন তাতে গান রেকর্ড করলে কানে লাগত। তাই এই সিদ্ধান্ত। ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। গেয়ে দিলাম...বুঝলেন?’ অভিনেত্রী বা প্রযোজক জয়া নন, বলে উঠল নদী, মাঠ ঘেরা বাংলার এক মেয়ে। আজও কলকাতায় বসে বাংলাদেশের বইমেলার জন্য যাঁর মনখারাপ করে। কখনও তিনি ‘বৃষ্টি’,কখনও ‘পদ্মা’।
‘আমার জীবনের সম্পর্ক, আমি কী খাই, কী পড়ি—এ সব নিয়ে আমি কোনওদিন কথা বলতে চাইনি। আমি মনে করি, কাজ করলে তবেই কথা হবে। ব্যক্তিজীবনকে আড়ালে রাখতেই ভালবাসি আমি,’ রহস্যের হাসি নিয়ে বললেন জয়া।
‘দেবী’র সাফল্যের পর নতুন প্রযোজনার কাজেও হাত দেবেন জয়া। ছবির নাম ‘ফুড়ুৎ’। ফেসবুক নয়। ইন্স্টাগ্রামে বারে বারে ভিন্ন অভিব্যক্তির জয়াকে দেখা যায়। তাঁর ছবি যেন সব কথা বলে দেয়।
শোনা যাচ্ছে ‘বিজয়া’র সিক্যুয়েল হবে?
‘হুমম। হবে হয়তো। ছবিটার সাফল্যই কৌশিকদাকে ‘বিজয়া’র সিক্যুয়েল নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে।’’
এসি