ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

`কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন` গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩১ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

একুশে বই মেলায় এসেছে চলচ্চিত্র সাংবাদিক আবদুল্লাহ জেয়াদ-এর লেখা ‘কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন’ গ্রন্থটি।

গত বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এফডিসি’র জহির রায়হান কালারল্যাব ভিআইপি প্রজেকশন হলে গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক আবদুল্লাহ জেয়াদ-এর লেখা ‘কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন’ এর গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রবীণ চলচ্চিত্রকার আজিজুর রহমান,অভিনেত্রী কোহিনুর আখতার সুচন্দা, নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থার সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান, ফিল্ম এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন এবং প্রযোজক-পরিবেশক খোরশেদ আলম খসরু।

অভিনেত্রী সুচন্দা বলেন, সুচিত্রা সেন আমার আইডল। তাঁর অভিনীত ‘উত্তর ফাল্গুনী’ ছবিটি দেখে আমি চলচ্চিত্রে আসার অনুপ্রেরণা পাই। এ ছবিতে তিনি ব্যারিষ্টারি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যারাই তাঁর অভিনয় দেখেছেন তাঁরাই মুগ্ধ হয়েছেন। সুচিত্রা বাঙালি নারীর আদর্শের প্রতীক। সে সময় তাঁকে অনুসরণ করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ‘কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন’ গ্রন্থটিতে লেখক আবদুল্লাহ জেয়াদ তাঁর জীবনের নানা বিষয় তুলে এনেছেন। যা সত্যিই ভালো লাগার মতো অবস্থা।

নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, মহানায়িকা সুচিত্রা সেন আমাদের গর্ব কারণ তিনি এদেশেরই মেয়ে। তাঁর উপর এই গ্রন্থটি একটি দলিল হিসেবে বিবেচ্য হবে। শুধু যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের উপর নয়,যারা জীবিত আছেন তাদের উপরও লেখার আহবান জানান।

ছয়টি অধ্যায়ে বিন্যাসিত ‘কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন’ গ্রন্থটিতে নায়িকা সুচিত্রার তিনটি সময়ের জীবনের নানা অনুষঙ্গ উঠে এসেছে। এক. শৈশব ও কৈশোরকাল দুই. বিবাহোত্তর ও চলচ্চিত্রীয় জীবন এবং তিন.অন্তরীণ জীবন।

এছাড়া পরিশিষ্ট-১ এবং পরিশিষ্ট-২ তে যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিক এবং সেলিব্রিটিদের স্মৃতিকথা তুলে ধরেছেন লেখক। এছাড়া আরও আছে অনেক দুর্বল স্থিরচিত্র। ৩৩৬ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে জ্যোতি প্রকাশ। দাম ৪০০ টাকা। গ্রন্থটি পাওয়া যাবে বই মেলার ১৮৮ নং জ্যোতি প্রকাশ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ৬৭ নং স্টলে।

কেআই/