ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৪ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০২ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

বিপিএল ষষ্ঠ আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এই জয়ে ফলে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। ২০০ রানের টার্গেট ঢাকা ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে। ফলে ১৭ রানে জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ঢাকা ডায়নামাইটসের রনি তালুকদার ভালোয় জবাব দিচ্ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তবে তিনি ফিরতেই পথ হারায় রাজধানীর দলটি। পরে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট হারিয়েছে ঢাকা।

এ নিয়ে দুইবার বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা। এর আগে ২০১৫-১৬ আসরে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে দলটি। এবার তাদের ক্যাবিনেটে শিরোপা তোলার মূল কারিগর তামিম। ব্যাট হাতে হার না মানা ১৪১ রানের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টে সুপারম্যানের মতো দুটি ক্যাচ ধরেছেন তিনি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। শূন্য রানেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অসাধারণ থ্রোতে রানআউটে ফিনিশ হন সুনিল নারাইন। দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন উপুল থারাঙ্গা। ক্রিজে সেট হওয়া মাত্রই ঘোরাতে শুরু করেন ছড়ি। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে সাইফ-পেরেরা-মেহেদীদের ঘাম ঝরান তারা। এতে দুরন্ত গতিতে ছোটে ডায়নামাইটসরা। তবে আচমকা থেমে যান দুর্দান্ত খেলতে থাকা থারাঙ্গা। ফেরার আগে ২৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস। থিসারা পেরেরার বলে দ্বাদশ খেলোয়াড় আবু হায়দার রনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে তালুকদারের সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি।

পরে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ওয়াহাব রিয়াজের বলে তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। সেই জের না কাটতেই এনামুল হকের অসাধারণ থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন রনি তালুকদার। এর আগে বইয়ে দেন রানের নহর। মাত্র ৩৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি।

রনি ফিরতেই পথ হারায় ঢাকা। এর রেশ না কাটতেই পেরেরার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আন্দ্রে রাসেল। এতে চাপে পড়ে ডায়নামাইটসরা। এর মধ্যে রিয়াজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে কাইরন পোলার্ড ফিরলে চাপটা দ্বিগুণ হয়। এ পরিস্থিতিতে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারেননি শুভাগত হোম।

ফাইনালের জন্য যেন সেরাটা তুলে রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। শিরোপা নির্ধারণি ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রানের ফোয়ারা ছোটান তিনি। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে সাকিব-রাসেল-রুবেলদের করেন কচুকাটা। তাদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে তুলে নেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। তার টর্নেডো ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ঢাকা ডায়নামাইাটসকে ২০০ রানের টার্গেট দেয় তামিমরা।

সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ৩০ বলে ২ চারে ২৪ রান করেন তিনি। এর রেশ না কাটতেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন ফর্মে থাকা শামসুর রহমান।

তবে একপ্রান্তে তামিম সাকিবদের উপর চড়াও হতে থাকেন। মাত্র ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। পরের পঞ্চাশ করেন মাত্র ১৯ বলে। সব মিলিয়ে মাত্র ৫০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েও থামেননি, শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা। তামিম ইকবাল এই ১৪১ রান করতে ১১টি ছয় ও ১০ চার হাকান। থাকেন ১৪১ রান করে অপরাজিত। তামিমকে সঙ্গ দিয়ে ২১ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস।

এসএইচ/