ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

একাত্তরের ৩রা মার্চ পাকিস্থান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিলো

প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:২১ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার

পাকিস্থান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিলো একাত্তরের ৩রা মার্চ। কিন্তু পহেলা মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তা স্থগিতের ঘোষনা দিলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। পল্টন ময়দানে এদিন এক জনসভায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ পাঠ করে স্বাধীনতার ইশতেহার। প্রকাশ্যে স্বাধীনতা শব্দ উচ্চারণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। march03জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষনা আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ঢাকা। সমস্ত অফিস আদালত বন্ধ করে মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠে নগরী। প্রথমবারের মতো সেদিন বিপুল সংখ্যক নারী লাঠি হাতে যোগ দেন মিছিলে। পরিস্থিতি পর্যালোচনার নামে ইয়াহিয়ার ডাকা বৈঠককে নিষ্ঠুর তামাশা আখ্যায়িত করে প্রত্যাখান করেন বঙ্গবন্ধু। বিভিন্ন স্থানে গঠিত হতে থাকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। দেশব্যাপী চলা অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি পল্টন ময়দানে শেখ মুজিবের উপস্থিতিতে এক জনসভায় পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার। জনসভায় বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা শব্দ উচ্চারনের সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে জনতা। চলতে থাকে ৭ই মার্চের জনসভার প্রস্তুতি। সারাদেশে চলা হরতালে চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও সিলেটে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ’বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রাজপথ।