জমাই ফারুক ও তার ২ সহযোগী ভারতে আটক
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৬ সোমবার
জেএমবি জঙ্গি জামাই ফারুক ও তার দুই সহযোগী এখন ভারতীয় পুলিশের হেফাজতে। ফারুক ও তার সহযোগিদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের তাগিদ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। জামাই ফারুক ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে জঙ্গি ছিনতাই ছাড়াও ময়মনসিংহে সিনেমা হলে বোমা হামলা চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যার সাথেও জড়িত।
সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ৩ বাংলাদেশিসহ ৬ সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়। ৩ বাংলাদেশির মধ্যে আনোয়ার হোসেন ওরফে জামাই ফারুক নিষিদ্ধ জেএমবি’র অন্যতম নীতিনির্ধারক।
আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই রাজধানীর শাহআলী এলাকা থেকে ফারুককে একবার গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। ৪ বছর কারাভোগের পর ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলো সে।
২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ৪টি সিনেমা হলে বোমা হামলা চালায় জেএমবি।
এতে ১৮ জন নিহত ও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়। ওই হামলায় অংশ নেয় ফারুক।
২০০৭ সালে ময়মনসিংহে মাদ্রাসা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম হত্যার সাথেও ফারুক জড়িত।
২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যা করে ৩ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে পালানোর পথে মির্জাপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এক জঙ্গি। এ ঘটনার পরিকল্পনাকারী জামাই ফারুক। ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যায় সে।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে বোমা ও গ্রেনেড তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারতের এনআইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, খাগড়াগড়ের বোমা ও গ্রেনেডের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ। এর সাথেও জড়িত ছিল জামাই ফারুক।
ফারুক ও তার সহযোগিদের বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দারা যৌথভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি দেশে ফিরিয়ে আইনের মুখোমুখি করাই এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন এই
ফারুকের গ্রামের বাড়ি জামালাপুরের মেলান্দহে। মাদ্রাসায় পড়াশুনার সূত্রে জামালপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বেড়ে ওঠা ফারুককে নিয়ে কথা বলতে রাজী নয় তার পরিবার।