ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

গুগল ম্যাপের আদলে হচ্ছে পোশাক খাতের ডিজিটাল ম্যাপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৯ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

এখন থেকে ওয়েবসাইটে (https://rmg.org.bd/) জানা যাবে রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক কারখানার সব তথ্য। কারখানার অবস্থান, শ্রমিক সংখ্যা, উৎপাদন সক্ষমতা ও কোন ব্র্যান্ডের কাজ করে তা থাকবে ওয়েবসাইটে। এটি মূলত ক্রেতাদের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে। তবে যে কেউ এখান থেকে তথ্য নিতে পারবে।

শনিবার কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করা হয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও সিএন্ডএ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ওয়েবসাইটি বানানো হয়েছে। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এতে সহায়তা করেছে। ‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় ঢাকা জেলাভিত্তিক পোশাক কারখানাগুলোর তথ্যসম্বলিত ডিজিটাল ম্যাপটি উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মানসুর আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র পরিচালক আসিফ সালেহ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, প্রকল্পের টিম লিডার প্রফেসর ড. রহিম বি তালুকদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি বলেন, ডিজিটাল ম্যাপিং খুবই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক আছে। একটা সমস্যা হলে সেটা এমনভাবে প্রচারিত হয় যেটা দুর্ভাগ্যজনক। তাই ডিজিটাল ম্যাপে শুধু ফ্যাক্টরির অবস্থান দেওয়ার পাশাপাশি এসব ব্যাপারও অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গুগল ম্যাপের আদলে পোশাক খাতের বিশদ তথ্য নিয়ে ‘ডিজিটাল ম্যাপটি’ তৈরি করা হবে। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের এপ্রিলে শুরু হয় শেষ হবে ২০২১ সালের মধ্যে। এ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা জেলার রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক কারখানার গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অনলাইনে একটি ডিজিটাল মানচিত্রে তা প্রকাশ করা হয়েছে। শুরুতে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও মিরপুরের পোশাক কারখানার যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এতে কারখানার নাম, ঠিকানা, জিপিএস অবস্থান, শ্রমিক সংখ্যা, কারখানার উৎপাদিত পণ্য, পণ্য রপ্তানির দেশসমূহ, কারখানার সঙ্গে কাজ করা প্রধান ক্রেতা ও ব্র্যান্ডস, কারখানার সদস্যপদ, কারখানার সংশ্লিষ্টতা এবং কারখানার সনদ দেখা যাবে।

আরকে//