‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৫’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার
বাংলা চলচ্চিত্রের সর্ববৃহৎ উৎসব ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৫’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবটির উদ্বোধন করেন।
এ বছর উৎসবটির আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ-এর প্রধান সহযোগী দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢা.বি চলচ্চিত্র সংসদের সঞ্চালক অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট এ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ এথিক্স এ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, ব্র্যান্ডস এ্যান্ড কম্যুনিকেশনস ডিরেক্টর কাজী উরফি আহমেদ এবং হেড অফ ব্র্যান্ড, মার্কেটিং মো. কাশেদুল হক।
পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে মোট ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেরা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকে প্রদান করা হবে ‘হীরালাল সেন পদক’। এবার মোট ৬টি চলচ্চিত্রকে ‘হীরালাল সেন পদকের’ জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই ৬টি চলচ্চিত্র হলো - দেবী, কমলা রকেট, জন্মভূমি, পাঠশালা, সনাতন গল্প এবং মাটির প্রজার দেশে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি এবারের উৎসবে থাকছে চলচ্চিত্র বিষয়ক একটি বিশেষ সেমিনার ও কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রের পোস্টার প্রদর্শনী।
বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট এ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন,‘এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে। এই উৎসবে দর্শকরা নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রকৃত দক্ষতা উপলব্ধি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বাংলালিংক সব সময়ই দেশীয় সংস্কৃতির প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই উৎসবের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা সেই প্রতিজ্ঞাকেই প্রতিফলিত করছে।”
দেশীয় সংস্কৃতি প্রসারের লক্ষ্যে এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগের সাথে ভবিষ্যতেও সম্পৃক্ত থাকবে বাংলালিংক।