ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

জাল সনদের কথা স্বীকার ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানার

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:০২ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

অন্য ব্যক্তির সনদ ও বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে সাত বছর ধরে চিকিৎসা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানা।

দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার জানান, সোমবার তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ভুয়া চিকিৎসকের আসল নাম মাসুদ রানা। সে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা পাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। সৈয়দপুর পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করে পাবনার পুলিশ। আটকের পর তাকে সৈয়দপুর থেকে পাবনায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ স্বীকার করেছে সে ভুয়া চিকিৎসক। ডা. মাসুদ করিমের নামসহ কাগজপত্র জাল করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

আটক ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানা দীর্ঘ সাত বছর ধরে পাবনার ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে কর্মরত থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএর পাবনা শাখার আজীবন সদস্যও ছিলেন।

ঢাকার ডা. মাসুদ করিমের নাম, বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ও সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন মাসুদ রানা। বন্ধু চিকিৎসকের মাধ্যমে ভুয়া চিকিৎসকের বিষয়টি জানতে পেরে পাবনায় আসেন প্রকৃত চিকিৎসক ডা. মাসুদ করিম। আর তার আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে পালিয়ে যান ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানা।

কেআই/