ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

জঙ্গি হামলা ও কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি পাক-ভারত উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিলো

প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০৭:১৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৬ সোমবার

ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে নতুন করে জঙ্গি হামলা ও কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি পাক-ভারত উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিলো। দু’দেশের সীমান্তে যুদ্ধ প্রস্তুতিও জোরদার হয়েছে। ইসলামাবাদে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের বলছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে ফোনালাপের পর উত্তেজনা নিরসনে একমত দু’দশ। কাশ্মীর সীমান্তে আবারও গোলাগুলি। পাকিস্তানী আইএসপিআরের দাবি, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নেজা পীর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে গুলি চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গেল বুধবার ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এ নিয়ে তিন দফায় হলো গোলাগুলি। আর রোবরাত রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের বারামুল্লা সেনাঘাঁটি ও বিএসএফ ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় এক জওয়ান নিহতের পর, গুরুদাসপুর সীমান্তে সন্দেহজনক জঙ্গির গতিবিধি শনাক্তের দাবি করেছে বিএসএফ। এছাড়া পাকিস্তানের করাচী বন্দর থেকে দুটি নৌকা ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে কোস্টগার্ড। অন্যদিকে পাঠানকোট সীমান্ত থেকে আটক করা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে লেখা চিঠিসহ একটি পায়রাকে। সংবাদ মাধ্যম বলছে, এসব ঘটনায় বাড়ছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। সীমান্তে বোমারু যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে ভারত। পাকিস্তানেও চলছে মহড়া। অন্যদিকে কাশ্মীর নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। সোমবার বিশেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে সমর্থন দেন তারা। তবে এসব ঘটনার মাঝেই ফোনে কথা বলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পাকিস্তানের নাসির জানজুয়ার। পাক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের দাবি, দ্বন্দ্ব নিরসনে একমত হয়েছে দু’ দেশ।