জেনিটিক্যালী মোডিফাইড বা জিএম ফুড-এর বৈধতা দেয়া উচিত
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ৪ অক্টোবর ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ৪ অক্টোবর ২০১৬ মঙ্গলবার
জৈব নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেই, জেনিটিক্যালী মোডিফাইড বা জিএম ফুড-এর বৈধতা দেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা। ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার বিবেচনায় জিএম ফুডের উৎপাদন ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পক্ষ্যে সরকারকে সতর্ক উদ্যোগ নেয়ারও পরামর্শ তাদের। তবে, এক্ষেত্রে বরাবরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও ফসলের গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
জীবনের ক্ষুদ্রতম একক কোষ; আর কোষের ক্রোমোজমে বিশেষ, বৈশিষ্ট্যের ধারক হলো জিন। ফসলে, কাংঙ্খিত গুণের উপস্থিতি আনতে, কোন জিনের প্রতিস্থাপন বা বিবর্তনে, পাওয়া জাতের ফসলই জিএমও। অবশ্য, শুরুর দিকে জিএম ফুডের ঝুঁকি নিয়ে, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশে বেগুনে ভেতরে, ডগা ও ফল ছিদ্রকারী, পোকার আক্রমণে, উপায় খুঁজতে বিজ্ঞানীরা বিকশিত করে বিটি বেগুনের জিএমও। এরিমধ্যে, বিটি বেগুনের চারটি জাত অবমুক্ত হয়েছে; ছাড়পত্র পাবার অপেক্ষায় আরো ৫টি জাতে বিটি বেগুন।
এ ধারাবাহিকতায়, আলুর জিএমও-তেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারি’র বিজ্ঞানীরা।
এক্ষেত্রে জৈব নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন, মত বিশেষজ্ঞরা।
আগামীতে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই জিএমও জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
উদ্ভাবিত নতুন এই খাদ্যের বিরোধিতা নয়, বরং এর ভালোমন্দ সব দিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে, দেশ ও জনগণের কল্যাণ হয়, এমন সিদ্ধান্তই নেয়া উচিত বলে মত সংশ্লিষ্টদের।