ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

জবিতে প্রেম বঞ্চিতদের বিক্ষোভ

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:১৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বঞ্চিত প্রকৃত প্রেমিক সংঘের ব্যানারে  প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ভালবাসা দিবসে নিজেরা প্রেম বঞ্চিত দাবি করে আমার ভাই সিঙ্গেল কেন জবাব চাই, কেউ পাবে, কেউ পাবে না তা হবে না তা হবে না’, ‘দুষ্টু প্রেমিক নিপাত যাক, প্রকৃত প্রেমিক মুক্তি পাক স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

বুধবার সকালে র‌্যালিটি বের হয়ে ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণ শেষে রফিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় সংঘটনটির সভাপতি ইমরান হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নিবন্ধ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আয়িক হাসানসহ বঞ্চিত প্রকৃত প্রেমিক সংঘের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমানসম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেন্টাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন’। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হিসেবে পালন করা শুরু করেন। যুদ্ধে আহত মানুষকে সেবার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ সার্বজনীন হয়ে ওঠে আরও পরে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাওয়ার পেছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুর আগে প্রতি বছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত ‘জুনো’ উৎসব। রোমান পুরানের বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ।

এ দিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের সঙ্গীকে বেছে নিত। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হয় তখন ‘জুনো’ উৎসব আর সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের দিনটিকে একই সূত্রে গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।