পিঠা উৎসবে মেতেছে ক্যাম্পাস
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:০৭ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
‘রঙে ঐতিহ্য মিলন মেলায়, পিঠা উৎসবে আয় ছুটে আয়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শেখ হাসিনা’ চত্বরে বাংলা বিভাগে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। এ সময় হরেক রকম পিঠায় উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.খোন্দকার নাসির উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর রফিকুনেচ্ছা আলী, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. এ. সাত্তার, ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বি কে বালা, আইন অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, রেজিষ্টার প্রফেসর ড. নুরউদ্দিন, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।
পিঠা মেলার উদ্বোধন শেষে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক -শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠাসহ স্টলগুলোয় ছিল প্রায় শতাধিক প্রকারের পিঠার সমাবেশ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চন্দ্রপুলি,রসমাধুরি,হৃদয়হরণ,ঝালকুলি,কস্তুরি পিঠা,ইলিশ পইটা,নারকেলের বরফি,পাটিসাপ্টা,নকশি পিঠা উল্লেখযোগ্য।
পিঠা উৎসব সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন,‘পিঠা পুলি বাঙালিদের অন্যতম ঐতিহ্য, কিন্তু বর্তমানে এই ইতিহ্যের চর্চা অনেকটা কমে এসেছে। মূলত এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের পিঠাপুলির সাথে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজন করে থাকি।
এ উৎসবে গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠার সমাহার থাকে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এই উৎসব অত্যন্ত উপভোগ করে। আমি মনে করি সকলের উচিত আমাদের ঐতিহ্য এ সকল পিঠাপুলি তৈরির চর্চা বৃদ্ধি করা।
কেআই/