ঢাকা, শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

কেড়ে নেওয়া হল ধর্মযাজকের পদবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫২ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রবিবার

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের চার্চ ব্যবস্থায় নানা ধরনের যৌন নির্যাতনের কাহিনী সম্প্রতি অনেক শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে চার্চের পাদ্রী, ধর্মযাজক ও অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের দ্বারা শিশুদের যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ক্যাথলিক চার্চ।

থিওডোর ম্যাককারিক রোমান ক্যাথলিক ঘরানার একজন সাবেক কার্ডিনাল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পাঁচ বছরের মতো আর্চবিশপের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

থিওডোর ম্যাককারিক হলেন এ পর্যন্ত সবচাইতে উচ্চ পদবীধারী ও প্রভাবশালী কোন ক্যাথলিক ব্যক্তিত্ব যার ধর্মযাজক পদবী কেড়ে নেওয়া হল।

ভ্যাটিকান থেকে বলা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস তার বহিষ্কারের ব্যাপারে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন এবং এব্যাপারে কোন আপীলের সুযোগ নেই।

মার্কিন চার্চ কর্তৃপক্ষ বলছেন তার বিরুদ্ধে এক কিশোরকে পাঁচ দশক আগে যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া গেছে।

তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কজন পুরুষ অভিযোগ করেছেন যে ধর্মযাজক হওয়ার জন্য তারা যখন পড়াশোনা করছিলেন তখন থিওডোর ম্যাককারিক তাদের যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছেন।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক বিশপদের সংঘ বলছে, ‘কোন বিশপ, সে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ম্যাককারিক যত নির্যাতন চালিয়েছেন তার ক্ষত নিরাময়ে এটি একটি ছোট ধাপ মাত্র।’

এসব অভিযোগ ওঠার পর এমনিতেই চার্চ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যাককারিক। ১৯২৭ সালের পর তিনি পদত্যাগ করা প্রথম কার্ডিনাল। এখন ৮৮ বছর বয়সী ম্যাককারিক এমন কিছু কখনো করেছেন কিনা মনে করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন।

রোমান ক্যাথলিক চার্চে যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ একের একের পর উঠছে সেগুলো মোকাবেলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ক্যাথলিক চার্চ সম্পর্কিত যেসব ঘটনা শোনা যাচ্ছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে নতুন।

জার্মানিতে ফাঁস হয়ে যাওয়া কিছু নথিপত্রে দেখা গেছে ১৯৪৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশু পাদ্রী ও ধর্মযাজকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভিনিয়াতে এক প্রতিবেদনে ৩০০ জন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের নাম প্রকাশ করা হয়েছে যাদের কাছে এক হাজারের বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার।

ধর্মযাজিকারাও এমন নির্যাতনের শিকার বলে সম্প্রতি খবরে প্রকাশিত হয়েছে। চার্চের উচ্চপদস্থ ধর্মীয় ব্যক্তিরা এসব অভিযোগ নানা সময়ে চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

এমএইচ/