চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসএমই শিল্পের সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৮:১১ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রবিবার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে স্থানীয় পণ্যের প্রভাব-সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে এসএমই ফাউন্ডেশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসএমই সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংক কর্মকর্তা ও তরুণ উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওয়েব রাজশাহীর সভাপতি আনজুমান আরা পারভিন লিপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিসিকের মহাব্যবস্থাপক মোহা. শফিকুল আলম, নাসিবের সহ-সভাপতি ইফফাত আরা নার্গিস, এসএসই ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও ।
দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও তার প্রবন্ধে এসএমই শিল্প বিকাশে অর্থ বা ঋণের সহজলভ্যতা না থাকা, দক্ষ জনশক্তির অভাব, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, বিপণনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, প্রশিক্ষণের সীমাবদ্ধতা, সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা, পণ্যের মান নির্ধারণের ব্যবস্থা না থাকা এবং তথ্য-উপাত্তের সংকট ইত্যাদি সমস্যাকে চিহ্নিত করেন। এসএমই’কে বাংলাদেশের চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ সেক্টরে বিরাজমান সমস্যাবলি দূর করা গেলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
সেমিনারে অলোচকরা বলেন, ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী যারা ব্যাংকিং সেবা থেকে দূরে আছে তাদেরকে স্বল্প খরচে ব্যাংকিং সেবা দিতে হবে। অর্থের অভাবে অনেক উদ্যোক্তাই তার উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো হওয়া সত্ত্বেও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছেন না, ব্র্যান্ডিং করতে পারছেন না। ফলে তার পণ্য বাজারে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারছেন না, উদ্যোক্তারা সাহস হারাচ্ছেন। সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় এসব সমস্যা সমাধানে সরকারি উদ্যোগ কামনা করেন বক্তারা।
সেমিনারের প্রধান অতিথি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক বলেন, আয় বৈষম্য টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে অন্যতম বাধা। এ বাধা দূর করতে উদ্যোক্তা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। এ অঞ্চলের উদ্যোক্তারা সহসী। সব ধরনের বাধা মোকাবেলা করেই এগিয়ে চলেছেন। বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতায় টিকতে আর্থিক, নীতি সহায়তা ছাড়াও অবকাঠামোগত নানান সুবিধা বাড়িছে বর্তমান সরকার। সরকারের সবগুলো বিভাগ আন্তরিকতার সাথে এসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগীতা করলে আমারা কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানো সম্ভব।
এছাড়াও কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং উন্নয়নকে টেকসই করতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা এমডিজি অর্জনে রোল মডেল ছিলাম। সামনের দিনে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সাত দিনব্যাপি চলমান আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, এসএমই শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক। মেলায় শুধু পণ্য বিক্রিই আসল উদ্দেশ্য নয়, মেলা থেকে ব্যাপক ধারণা নেওয়া এবং পণ্যের প্রচারও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা চাইলে এরকম মেলা যে কোন সময় করা যাবে।
আরকে//