তিন ব্যাংক অনুমোদনের সিদ্ধান্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:১৬ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রবিবার
বেসরকারি খাতে তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড। পরবর্তী বোর্ড সভায় চুড়ান্ত অনুমোদন (লেটার অব ইনট্যান্ট) দেওয়া হবে। তবে এজন্য শর্ত দিয়ে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাসের।
আবু ফরাহ মো. নাসের বলেন, তিনটি ব্যাংকের সব চুড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভা। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক নতুন করে অনুমোদন পাবে। বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ্য সহ সভাপতি জসীম উদ্দিন। তিনি বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। সঙ্গে আছেন তার ভাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলম। সিটিজেন ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক। আর পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসাবে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ ব্যাংক তিনটির অনুমোদন পেতে হলে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। এখন যেহেতু দেশের অর্থনীতি বড় হয়েছে, জিডিপি বেড়েছে তাই ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা। আগে এটি ছিল ৪০০ কোটি টাকা। এরপর আবার আবেদন করলে পরবর্তী বোর্ড সভায় লেটার অব ইনট্যান্ট দেওয়া হবে। লেটার অব ইনট্যান্ট পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মূল লাইসেন্স পেলে কার্যক্রমে যেতে পারবে। এছাড়া আমানতকারীদের স্বার্থ দেখার বিষটিও নজর দিতে হবে ব্যাংকগুলো।
বর্তমানে দেশে ৫৯টি তফসীলি ব্যাংক রয়েছে। নতুন করে এ তিনটি হলে মোট ব্যাংক সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২ তে।
বিধি মোতাবেক, ১০ লাখ টাকা আবেদন ফি দিয়ে নতুন ব্যাংকের জন্য পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। এখন এটি ৫০০ কোটি টাকা করা হলো। অর্থাৎ উদ্যোক্তাদের ৫০০ কোটি টাকা জোগান দিয়ে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম মেয়াদে নয়টি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। বর্তমানে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৫৯। এর মধ্যে ৪১টি বেসরকারি খাতের, ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ৯টি বিদেশি মালিকানার ব্যাংক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরকে//