ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘পাকিস্তানকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া দরকার’  

আউয়াল চৌধুরী

প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৫৬ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার

সংগীত শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী

সংগীত শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী

ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশের জন্যই পাকিস্তান ক্ষতিকর। তারা পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলা করার পর আবার চারজনকে হত্যা করেছে। তাদের এখন উচিৎ শিক্ষা দেওয়া দরকার বলে মনে করেন সংগীত শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পাকিস্তান বার বার একই কাজ করে যাচ্ছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।    

কমলিকা গানের ভুবনের মানুষ। তিনি একজন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। দুই বাংলাতেই রয়েছে তার সমান বিচরণ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশে। তার বাড়ি পশ্চিম বঙ্গের নদীয়ায়। ছোট বেলা থেকেই তিনি নাচ গানের সঙ্গে যুক্ত। মা-বাবার হাতেই তার গানের হাতে খড়ি। তার প্রথম গানের অ্যালবাম ‘রবি কথা’। তারপর তিনি রবীন্দ্র সংগীতের পাশাপাশি অনেকগুলো মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন।  

সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এ সংগীত শিল্পী একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, আমার শ্বশুর বাড়ি বাংলাদেশে। আমি দেখি এখানে পাকিস্তানের শিল্পীরা এলাও হয় না কিন্তু ভারতে তারা কাজ করতে পারে। এখন সময় হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার। তবে বাংলাদেশে এসে মনে হয়েছে এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে পছন্দ করে না। তারা অনেকেই কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় সোচ্চার।

আগামীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কমলিকা চক্রবর্তী বলেন, ভবিষ্যতে রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে। আমার বাবা রাজনীতি করতেন অন্যদিকে আমার শ্বশুর পরিবারও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমি তৃণমূল কংগ্রেস এর মিছিল মিটিং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকি। নির্বাচনের সময় তৃণমূলের জন্য আমি একটি নির্বাচনি গানও করি। যা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। আগামী প্রজন্মের জন্য কিছু কাজ করে যেতে চাই। 

গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই বাংলাতেই কাজ করতে চাই। কলকাতায় ইতোমধ্যে দুটি মিউজিক ভিডিও’র কাজ শেষ করেছি। সামনে মুক্তি পাবে। এছাড়া সিনেমার গান নিয়েও কাজ করছি। এর আগে বাংলাদেশের একটি সিনেমায় গান করেছি। আরও কিছু কাজ আছে সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছি।

দুই বাংলার মধ্যে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন? তুলনা করতে বললে, একটু হেসে...বললেন, অবশ্যই আমার জন্মভূমি বেশি প্রিয়। তবে এ দেশকে আমি খুব ভালোবাসি। আমার শ্বশুর বাড়ি এখানে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। তার পরিবারকে যেভাবে হত্যা করা হলো- তিনি দাঁতে দাঁত কামড়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা একটা বিরল ঘটনা। আমি হলেও এটা পারতাম না। তিনি যতদিন থাকবেন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ততটাই মজবুত থাকবে।

গানে বিশেষ অবদান রাখায় কমলিকা চক্রবর্তীকে গেল বছর দুবাইতে ‘গ্লোবাল মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করা হয়। এছাড়া তিনি ব্যাপক সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গানের মধ্যে দিয়েই তিনি আজীবন মানুষের মনে স্থান করে নিতে চান। পাশাপাশি সমাজকে, প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে যুক্ত হতে চান রাজনীতিতে।

এসি